ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে বিশ্বাসযোগ্য ফল পাওয়া অসম্ভব দাবি করে বিএনপি বলেছে, ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে কারসাজি করার সরকারের ইচ্ছা পূরণেই নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
ইভিএমে ভোট নেয়ার বিপক্ষে অবস্থান জানিয়ে রোববার নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন কেলেংকারির পর এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও সরকারের ইচ্ছা পূরণে সক্রিয় হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে কারসাজি করে সরকারের পক্ষে রায় নেয়ার জন্য জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তারা। আমরা নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলতে চাই, ইভিএম বাতিল করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করুন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম-মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, ফরিদা ইয়াসমীন, শাহ নেছারুল হক, আবদুল কালাম আজাদ ও নজরুল ইসলাম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, ইভিএম একটি অস্বচ্ছ ভোটগ্রহণ পদ্ধতি- যা গণতন্ত্র চর্চার সহায়ক নয়। এই মেশিনে সহজেই ‘টেম্পার’ করা যায়। তাই এ মেশিন ব্যবহার করে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্য ফলাফল পাওয়া অসম্ভব। ইভিএমের বিরুদ্ধে শুধু বিএনপি নয়, দেশের প্রায় সব দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সবাই বলেছে, ইভিএম হচ্ছে ভোট কারচুপির অন্যতম হাতিয়ার। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কানে কথা ঢুকছে না।
কমিশন কীভাবে সরকারের ইচ্ছা পূরণে কাজ করছে তার ব্যাখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, গত বুধবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হবে ইভিএম মেশিনে। তার বক্তব্যের পরপরই নির্বাচন কমিশনার বলে উঠলেন, ইভিএম ব্যবহার করেই তারা নির্বাচন করবেন।