খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ২০০ বিঘা গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় প্রায় ২০০ বিঘা গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। পরে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন মহালছড়ি সেনা জোনের মেজর আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে এ গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মাটিরাঙ্গার ধল্যাছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনী এ ক্ষেত ধ্বংস করে।

নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গহীন অরণ্য ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম, এই রকম জায়গায় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা গাঁজা চাষ করেছে-এমন খবর পায় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। এরপর অনুসন্ধান চালানো হয়। তাদের অনুসন্ধানে সত্যতা পেয়ে আজ দুপুরে খগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন মহালছড়ি জোনের মেজর আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে ধল্যাছড়া পাড়ায় অভিযান চালানো হয়। এতে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে গাঁজা চাষ করা ছিল। পরে পুরো গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করে দেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তবে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন গাঁজা চাষীরা।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, ‘কীভাবে এই এলাকায় গাঁজার জগৎ গড়ে তুলেছে, তা আমার জানা নেই। নিরাপত্তা বাহিনী কতৃক এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকায় জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে।’

মাটিরাঙা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিউদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘এত দুর্গম এলাকায় নজরদারি রাখা কঠিন। তাই লোক চুক্ষর আড়ালে গ্রামের লোকজন গাঁজার আবাদ করেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে গাঁজা চাষের সাথে সম্পৃক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এখন গাঁজা চাষের মৌসুম। এসব গ্রাম দুর্গম হওয়ায় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা গাঁজার আবাদ করেছে। সেনাবাহিনী মহালছড়ি জোনের নেতৃত্বে বিশাল গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায়। পরে এসব গাঁজা গাছ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।’

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর সেনা রিজিয়নের নেতৃত্বে মহালছড়ি এলাকায় বেশ কিছু গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়।