যশোরে আটক ব্যাটারি চালিত রিকশার ব্যাটারি যাচ্ছে কোথায়?

যশোর শহর থেকে আটক ব্যাটারি চালিত রিকশার ব্যাটারি যাচ্ছে কোথায়। ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরে চলাচলরত ব্যাটারি চালিত রিকশা আটক অভিযান শুরু হয়। একই সাথে পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হয় ব্যাটারি চালিত রিকশা আটক অভিযান চলছে।

আগামি ২ জানুয়ারি থেকে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল না করার জন্য বিশেষ ভাবে বলা হচ্ছে। পৌরসভা সভা থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যশোর শহরে আর ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করতে দেয়া হবে না। মাইকিংয়ের পাশাপাশি শহরে ব্যাটারি চালিত রিকশা আটক অভিযান অব্যাহত থাকে।

পৌরসভার প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত ব্যাটারি চালিত রিকশা আটক করা হয়েছে প্রায় একশত। তিনি বলেন, ৪ জানুয়ারি কোন আটক অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। তবে ৫ জানুয়ারি থেকে জোরালো আটক অভিযান পরিচালিত হবে।

আটককৃত এসব রিকশার ব্যাটারি খুলে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগিরা। অভিযোগে জানা গেছে, আটককৃত রিকশা গুলি ট্রাফিক অফিসে নিয়ে রাখা হচ্ছে। সময় সুযোগ বুঝে সেখান থেকে রিকশার ব্যাটারি ও মোটর খুলে গোপন স্থানে রাখা হয়। পরে তা শহর ও শহরতলীর দুইটি ব্যাটারির দোকানে নিয়ে ব্যাটারি বিক্রি করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, পৌরসভার কতিপয় কর্মচারিদের সহযোগিতায় টুটুল ও এরশাদ নামে দুই যুবক ব্যাটরি গুলি নিয়ে শহরের জেলরোড কলাবাগান সংলগ্ন একটি ব্যাটারির দোকানে বিক্রি করে। কলাবাগান ছাড়াও সদর উপজেলার রুপদিয়া মোড়ের আর একটি দোকানে বিক্রি করা হয়। টুটুল ও এরশাদ ট্রাফিক অফিসে উঠাবসা করে বলে অভিযোগে বলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পৌরসভার প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, প্রথম দিনের অভিযানে আটককৃত রিকশার ব্যাটারি ও মোটর খুলে ট্রাফিক অফিস থেকে বেশ কিছু রিকশা ছেড়ে দেয়া হয়। ব্যাটারি, মোটর ও কিছু রিকশা আমরা হামিদপুর ময়লা খানায় নিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন সম্মত ভাবে ধ্বংস করি। আমাদের কেউ ব্যাটারি বা মোটর বিক্রি করে না।