ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে পিচ শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার-ইস্ত্রি, সমালোচনার ঝড়

ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে পিচ শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার-ইস্ত্রি, সমালোচনার ঝড়
নতুন বছরের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল এটি। কিন্তু গুয়াহাটিতে বৃষ্টির কারণে ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মাঠেই গড়ায়নি। পরিত্যক্ত হয়ে গেছে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। কিন্তু সব ছাপিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে পিচ শুকানোর অদ্ভুতুড়ে সব পদ্ধতি।

গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে রবিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হওয়ার কথা ছিল ম্যাচ। কিন্তু গুয়াহাটিতে বৃষ্টি হয়েছে সকাল থেকেই। যদিও নির্দিষ্ট সময়েই টস হয়েছিল ম্যাচের। টস জিতে ফিল্ডিং নেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। গ্যালারী তখন দর্শকে ভরা। ম্যাচ শুরুর আশায় দর্শকরা।

কিন্তু খেলা শুরুর মিনিট ১৫ আগে নামে বৃষ্টি। পিচসহ আউটফিল্ডের অনেকটা অংশ ঢেকে দেওয়া হয় কাভারে। প্রায় এক ঘণ্টা টানা বৃষ্টি হওয়ার পর কাভার সরিয়ে নেন মাঠকর্মীরা। কিন্তু কাভার সরানোর পর দেখা যায়, কাভারের ফাঁক গলে পানি ঢুকে ভিজে গেছে পিচ।
এরপরই পিচ শুকাতে ব্যবহার করা হয় অদ্ভুতুড়ে সব পদ্ধতি। প্রথমে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার এনে পিচ শুকোনোর চেষ্টা করেন মাঠকর্মীরা।

এরপর নিয়ে আসা হয় ইস্ত্রি। একটি কাপড়কে দুই ভাঁজ করে ভেজা জায়গায় রেখে তার ওপর ইস্ত্রি করে ছোট রোলার দিয়ে পিচ শুকোনোর চেষ্টা করা হয়। ব্যবহার করা হয় হেয়ার ড্রায়ারও। যদিও কোনো লাভ হয়নি।

কয়েক দফায় মাঠ পরিদর্শন করেও খেলা শুরুর মতো অবস্থা দেখতে পাননি আম্পায়াররা। স্থানীয় সময় রাত দশটার একটু আগে তাই পরিত্যক্তই করে দেওয়া হয় ম্যাচ। একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় মাঠে আসা দর্শকদের।

ওদিকে পিচ শুকানোর অদ্ভুতুড়ে সব পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

নাভিন নামে একজন টুইট করেছেন, ‘হেয়ার ড্রায়ার? সত্যি? কী লজ্জা!’ একজন গত বিশ্বকাপের কথা তুলে ধরে লিখেছেন, ‘কিছু লোক বিশ্বকাপ চলাকালীন ইংল্যান্ডের গ্রাউন্ড স্টাফদের নিয়ে বিরক্ত ছিল। এখন তারা (ভারত) হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে পিচ শুকাচ্ছে।’

আরেকজন সমালোচনা করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের, ‘আমরা কি আসলেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বোর্ড? যখন আমরা এই সমস্যাগুলো মোকাবেলার ব্যবস্থাই নিতে পারি না। হেয়ার ড্রায়ার, ইস্ত্রি পিচ শুকানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। সৃজনশীল, তবে বাজে ব্যবস্থা।’