কারচুপি-ব্যালট ছিনতাই বন্ধ করতেই ইভিএম: সিইসি

cec km nurul huda
ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনে যাতে কারচুপি না হয়, ব্যালট ছিনতাই না হয় সেজন্যই ইভিএমের ব্যবস্থা করেছি। ইভিএমের মাধ্যমে একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারে না। একবার একজন ভোট দিলে তিনি দ্বিতীয়বার দিতে পারেন না।

বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য রাখা হবে না। যা দরকার তাই রাখা হবে। যেহেতু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন হবে, তাই সংঘাতের আশঙ্কা নেই। এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে।’

প্রিসাইডিং অফিসারের হাতে ২৫ শতাংশ ভোট আছে এমন খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘বিষয়টি অনেকটা চাঁদে মানুষের চেহারা দেখা যাওয়ার মতো। নির্বাচনী বিধিতে কোথাও এক শতাংশ ভোটও প্রিসাইডিং অফিসারের হাতে আছে এমন কিছু লেখা নেই। এসব খবরের কোনো ভিত্তি নেই।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। একটা কারণ হল- নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হওয়া। বিশেষ করে বড় দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হলে ভোটার সংখ্যা কম হয়।’

মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানসহ র‌্যাব-বিজিবি, আনসার, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।