ইরানে বিমান ভূপাতিতের ঘটনায় কয়েকজন আটক

ইউক্রেইনীয় যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ভুলবশত ভূপাতিত করা নিয়ে বাড়তে থাকা বিক্ষোভের মুখে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে ইরান।

মঙ্গলবার ইরানের বিচার বিভাগীয় মুখপাত্র গোলামহুসেইন ইসমাইলি বলেন, “বিমান বিপর্যয়ের ঘটনায় ভূমিকা থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে।”

তবে তারা কারা এবং কতজন আটক হয়েছে তা জানাননি তিনি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে বলে ইসমাইলি জানিয়েছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু তিনি বলেননি।

‘বিশেষ আদালতের’ তদারকাধীনে এ তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

গত বুধবার ভোরে তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ছয় মিনিট পর ইউক্রেইন এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজাটি বিধ্বস্ত হয়। এতে আরোহী ১৭৬ জনের সবাই নিহত হন।যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন ইরান এবং কানাডার নাগরিক।

প্রথমে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে দাবি করে ইরান। কিন্তু উড়োজাহাজটি ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। তখন ইরানের কর্মকর্তারা তা ডাহা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে বলছিলেন, যান্ত্রিক ত্রুটিতেই দুর্ঘটনায় পড়ে ওই উড়োজাহাজটি।

ঘটনার তিনদিন পর শনিবার ‘ভুল করে’ উড়োজাহাজটি ভূপাতিতের কথা স্বীকার করে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে ইরান কর্তৃপক্ষ। এরপরই বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে ইরানে।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটির তথ্যপ্রমাণ বেরিয়ে আসতে থাকার মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনায় যারা আছে তারা উড়োজাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভেবে ভুল করে সেটির দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।

মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলেমানি হত্যার পর এ বদলা নিয়ে ইরান ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকেই দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগ উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।