যশোরে আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে এসআই খায়রুল নির্দোষ

যশোরের শার্শায় আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি পুলিশ কর্মকর্তা খায়রুলের। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম, কে, এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন এ দাবি করেন।

এসময় তিনি বলেন, বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগে গ্রেফতারকৃত তিনজন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাদের মধ্যে একজন আসামি আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এছাড়া আটককৃত তিনজনের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বীকারোক্তি প্রদানকারী আসামি বাদীর পূর্ব পরিচিত এবং পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনার সাথে গোড়পাড়া ক্যাম্পের আইসি সাব ইন্সপেক্টর খায়রুল আলমের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। এঘটনায় প্রাথমিকভাবে একজন ব্যাক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

গতবছর ২ সেপ্টেম্বর যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর এলাকায় দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ (৩০) পুলিশের এসআই খায়রুল আলম ও সোর্স কামরুজ্জামান ওরফে কামারুল কর্তৃক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর শার্শা থানায় এসআই খায়রুলসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে শার্শা থানায় একটি মামলা করেন তিনি। পরবর্তীতে মামলাটি পিবিআই এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।