পাবনায় ধর্ষণের সাক্ষীকে আসামিদের হাতে তুলে দিল পুলিশ!

পাবনায় গণধর্ষিতা গৃহবধূকে ধর্ষকের সঙ্গে থানায় বিয়ে দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা, মেয়ে হত্যার বিচারপ্রার্থী বাবার মামলা গ্রহণ না করে উল্টো ডাকাতির মামলায় ফাঁসানো এমন সব বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগের পর এবার ধর্ষণ মামলার সাক্ষীকে অভিযুক্ত আসামির হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

সন্ত্রাসীরা এ সময় মামলার সাক্ষী ওই যুবককে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আহত করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার মালিগাছা ইউনিয়নের গাছপাড়ায় ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা ফাঁস হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম ও একজন সিপাহিকে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা।

আহত আবদুল আলীম জানান, মালিগাছা ইউনিয়নের একটি ধর্ষণ মামলার তদন্তের বিষয়ে কথা বলতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে ডেকে নেন সদর থানার ওসি (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম। এ সময় সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। কিছুক্ষণ কথোপকথনের পর একটি ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মালিগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শরিফের ছোট ভাই আরিফুলের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে পেটাতে শুরু করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরই একটু আগে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম নীল রঙের ব্লেজার পরা অবস্থায় বেরিয়ে যান সেখান থেকে। পরে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী একটি দোকানের ভিডিও ফুটেজে মারপিটের সময় পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম ও একজন সিপাহিকে দ্রুত বের হয়ে চলে যেতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা আলীমকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার একটু উন্নতি হলে সোমবার রাতে পুনরায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে আহত আবদুল আলীম সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে আহত আবদুল আলীমের মা আলেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলেকে পুলিশ ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিয়েছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।