সিনহার দুর্নীতি মামলায় বাবুল চিশতি গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার চার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক প্রকাশ বাবুল চিশতীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।

অন্য মামলায় কারাগারে থাকা এ আসামিকে দুদক গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মামলায় প্রধান আসামি এসকে সিনাহ ছাড়াও আরও নয়জন আসামি রয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সান্ত্রী রায় ওরফে সিমি ও তার স্বামী রণজিৎ চন্দ্র সাহা।

মামলায় গত ১০ ডিসেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ ১১ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর গত ৫ জানুয়ারি সকল আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সর্বশেষ গত ২২ জানুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির আদেশ দিয়ে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। গত বছর ১০ জুলাই দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

চার্জশিটে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকে শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার নামে মঞ্জুরকৃত ঋণের চার কোটি টাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সুপ্রিমকোর্ট সোনালী ব্যাংক শাখার হিসাবে জমা হয়। সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৪৪৩৫৪৩৪০০৪৪৭৫-এ জমা হওয়ার পর ওই টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর করে উত্তোলন করা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করতে এ ধরনের অপরাধ করেন। তারা অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে চার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে নিজ আত্মীয়র নামীয় হিসাবে হস্তান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। পরে সেই অর্থ নিজেদের ভোগদখলে রেখে তার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস অবস্থান গোপন বা এর ছদ্মাবরণে পাঁচার করেছেন মর্মে তদন্তে প্রমাণিত হয়।