নিষিদ্ধের দেড় মাস পর ফেনীতে জনসমুদ্রে পরিণত হলো আজহারীর মাহফিল

নিষিদ্ধ হওয়ার প্রায় দেড় মাস পর ফেনী সদর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে সময়ের আলোচিত ও জনপ্রিয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।

গত বুধবার সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর কাশিমপুরে তাফসির করেন আজহারী। উত্তর কাশিমপুর মডেল দাখিল মাদ্রাসার উদ্যোগে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

গত ৪ ডিসেম্বর একই স্থানে ওয়াজ মাহফিলে অংশ নেয়ার কথা ছিল আহজারীর। কিন্তু জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই মাহফিল বন্ধ করে দেয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে বিভিন্ন এলাকা থেকে সব বয়সী নারী-পুরুষ ভিড় জমান। জোহরের নামাজের পর শুরু হয় বয়ান।

বাদ আসর লক্ষাধিক জনতার সমাগমে মাহফিলস্থল ও আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। মাগরিবের পর মহাগ্রন্থ কোরআন মাজিদ থেকে তাফসির করেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। মাহফিলে সমাজ-রাষ্ট্রে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য কোরআন-হাদিসের আলোকে ১০ বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন তিনি।

পাঠাননগর আমিনিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক উত্তর কাশিমপুর মডেল দাখিল মাদরাসার সেক্রেটারি কামরুজ্জমান মাসুমের পরিচালনায় মাহফিলে আরও বয়ান করেন ফেনী আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, পদ্মা টেক্সটাইল মিল মসজিদের খতিব মাওলানা অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম, কুমিল্লার মাওলানা রহমত উল্লাহ ও ছাগলনাইয়ার মধুগ্রাম জিনারহাট ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাকারিয়া।

মাহফিলের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মাসুম বলেন, দুই লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল শেষ হয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহযোগিতা করেছে আমাদের।

সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে অনেক স্থানে তার মাহফিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

গত বুধবার সিলেটে আজহারীর সব ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন।

ওয়াজের শুরুতে মাহফিল নিষিদ্ধকারীদের উদ্দেশে আজহারী বলেন, ‘আমরা ভালোবাসা দিয়ে বিশ্ব জয় করব। হেরে যাবে ওদের হিংসা আর ষড়যন্ত্র, জিতে যাবে আমাদের ভালোবাসা। আমাদের ভালোবাসাকে হারিয়ে দেয়ার মতো শক্তি পৃথিবীতে নেই।’

‘যারা না বুঝে কোরআনের প্রোগ্রাম বানচাল করতে চায়, তাদের এসে দেখা উচিত জনগণকে ভুলভাল বোঝানোর দিন শেষ। তাওহিদি জনগণ এখন অনেক সচেতন। কোরআনপ্রেমী তাওহিদি জনতা কোরআন আর সুন্নাহ এই দুটি ছাড়া কিছুই বোঝে না।’