শামীম-রাকিবুলদের ঘূর্ণিতে চাপে নিউজিল্যান্ড

যুব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান সংগ্রহ করেছে কিউইরা।

প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে ৫টিই মেডেন নেন বাংলাদেশি বোলাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রাইস মারিওকে (১) সাজঘরে ফেরান অফস্পিনার শামীম হোসেন।

দলীয় ৩১ রানে ওলি হোয়াইটকে (১৮) উইকেটের পেছনে আকবর আলীর ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান স্পিনার রাকিবুল হাসান। ২১তম ওভারে এসে দ্বিতীয় সাফল্য দেখেন শামীম। ফারগুস লেলম্যানকে (২৪) তুলে নেন তিনি। দলীয় ৭৪ রানে হাসান মুরাদ সরাসরি বোল্ড করেন কিউই অধিনায়ক জেসে টাসকফকে (১০)।

পঞ্চম উইকটে ৬৭ রানের জুটিতে চাপ কিছুটা কাটিয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ড। ৪১তম ওভারে দলীয় ১৪১ রানে নিকোলাস লিন্ডস্টোনকে (৪৪) প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন শরীফুল ইসলাম। ৭৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করেন লিন্ডস্টোন।
পরের ওভারেই মুরাদ উপড়ে ফেলেন কুইন সুন্ডির (১) স্টাম্প।

এবারের যুব বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড আর জিম্বাবুয়ে। প্রথম ম্যাচেই জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারায় টাইগার যুবারা। দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দেয় মাত্র ৮৯ রানে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নি ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। সেদিন ব্যাটিংটা একদম ভালো হয়নি। ২৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৬ রান তোলার পর বৃষ্টিতে খেলা পরিত্যক্ত হয়। তবে রানরেটে এগিয়ে থাকায় গ্রুপসেরা হয়ে সুপার লীগ কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখেন আকবর-হৃদয়রা।

অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত, শ্রীলঙ্কা ও জাপান। তিন ম্যাচে এক জয়, এক হার দেখে কিউরা। আরেকটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে কিউইরা।