যশোরের শংকরপুরের নুর হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রনি ওরফে কানা রনিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। ডিবির এসআই খান মাইদুল ইসলামের নেতৃেত্বে একটি টিম সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জ উপজেলার সিরাজদিখান থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করে। আটক কানা রনি শংকরপুর চোপদারপাড়ার বাবু শেখের ছেলে। এরআগে এদিন সকালে এ হত্যার সাথে জড়িত অপর আসামি পঁচাকে খুলনার ডুমুরিয়া এলাকা থেকে আটক করে।
ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, হত্যারপরই রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের ধরতে মাঠে নামে ডিবির একটি টিম। দুইদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় তারা অভিযান চালায়। শেষমেষ সোমবার সকালে ঢাকা থেকে কানা রনিকে আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, আটকের পর তিনি হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
রনি জানিয়েছেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গোলোযোগ বাধে। প্রথমে নুরকে ক্রিকেটষ্ট্যাম দিয়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দিয়ে অন্যান্য আসামীরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং পচার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়া ভিকটিমকে তলপেটে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে । আশিক ও পাপ্পু নুরকে ধরে রাখে এবং আসামী বাধন এর হাতে থাকা চাকু দিয়ে ভিকটিমের মলদ্বারের উপরের মাংস পেশিতে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্য সকল আসামীরা ভিকটিমকে এলোপাতাড়ী মারপিট করিয়া জখম করিয়া ফেলে রেখে চলে যায়।
উল্লেখ, যশোর আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপাল কলেজের শিক্ষার্থী নুর হোসেনকে গত শনিবার রাতে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তার খুলনায় রেফার করে। খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান নুর হোসেন। এঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের মা আম্বিয়া খাতুন ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটির তদন্তে নামে পিবিআই। এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন, রিয়াদ,বাধন, আশিক, পাপ্পু, আলী আহম্মেদ, মনিরুল ইসলাম, আকাশ ও সোহাগ।