যশোর শিক্ষাবোর্ডের ৩০ কর্মচারীকে এক যোগে বদলী, কর্মচারীদের অসন্তোষ

jessore education board

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের ৩০ জন কর্মচারীকে এক যোগে পৃথক তিনটি স্মারকে বদলী করা হয়েছে। এ ঘটনায় কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।

বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোল্যা আমীর হোসেনের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে দাবি তাদের।

বোর্ডের সচিব প্রফেসর এ.এম.এইচ আলী আর রেজা ও উপ-সচিব (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম. রফিকুল ইসলামের ৬ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত প্রশাসনিক স্বার্থে বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি পূর্বাহ্নে এসব কর্মচারীদের যোগদান করার আদেশ দেয়া হয়েছে। অফিস আদেশে অপরাহ্নে বিমুক্ত বলে গণ্য হবে উল্লেখ করা হয়।
বোর্ডের প্রশা-০৫/১০৪/৩/ ২৯০৯ স্মারকে বোর্ডের কলেজ নিবন্ধন শাখা রেকর্ড সাপ্লায়ার মশিয়ার রহমান (১) কে তত্বাবধায়ক শাখার মেইন গেটের কাজী আলীম উদ্দিনের স্থলে, বিদ্যালয়ের অনুমোদন শাখার রেকর্ড সাপ্লায়ার মো. দেলোয়ার হোসেনকে তত্বাবধায়ক শাখার (১ নং গেট) মো. রমজান আলীর স্থলে, বিদ্যালয় পরিদর্শক স্থলে সুরুজ প্রধানিয়া স্থলে হিসাব প্রধান শাখার শুন্যস্থানে, কলেজ পরিদর্শকের দপ্তরের শাহজাহান আলীকে বিদ্যালয় অনুমোদন শাখার রেকর্ড সাপ্লায়ার দেলোয়ার হোসেন স্থলে, বিদ্যালয় অনুমোদন শাখার রেকর্ড সাপ্লায়ার সিরাজুল ইসলাম-৪কে উপ-পরিচালক (হিওনি)র মো. আব্দুল কাদেরের স্থলে, উপ-পরিচালক (হিওনি) দপ্তরের সাধারণ কর্মচারী আব্দুল কাদেরকে বিদ্যালয় অনুমোদন শাখার সিরাজুল ইসলাম (৪) এর স্থলে, ১ নাম্বর মেইন গেটের তত্বাবধায়ক শাখার কাজী আলীমুদ্দিনকে কলেজ পরিদর্শক দপ্তরেরর শাহজাহান আলীর স্থলে, তত্বাবধান শাখা (অফিসগেট) সাধারণ কর্মচারী মো. রমজান আলীকে কলেজ নিবন্ধন রেকর্ড শাখার স্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

বোর্ডের প্রশা-০৫/১০৪/৩/ ২৯১১ নম্বর স্মারকে নিরাপত্তা অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেনকে সহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড মোহাম্মদ শাহানুর হকের স্থানে, সরকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক (অনুমোদন) মো. আহসান আলীমকে সহ অফিসার (প্রদান) মোছা. সালমা আফরোজের স্থানে, সরকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক (অনুমোদন) সুলতান আহমেদ পাড়কে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (গোপনীয়) এম. এম. আনিসুর রহমানের স্থলে, সহ কলেজ পরিদর্শক কাজী মোঃ জুলফিকার আলীকে নিরাপত্তা অফিসার মোঃ মনির হোসেনের স্থলে, সহকারি পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক (গোপনীয়) এম.এম. আনিসুর রহমানকে সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক (অনুমোদন) সুলতান আহমেদের স্থলে, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উমা) মোঃ কামাল উদ্দিন সিকদারকে সহকারী সচিব (একাডেমিক) মোঃ মুজিবুল হকের স্থলে, সহকারী সচিব (প্রশাসন-১) আব্দুল্লা হেল মুকিতকে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উমা) কামাল উদ্দিন সিকদারের স্থলে, সহ-হিসাব অফিসার (প্রদান) মোছা সালমা আফরোজকে সহকলেজ পরিদর্শক গাজী মোঃ জুলফিকার আলীর স্থলে, সহকারী সচিব (একাডেমী) মোঃ মুজিবুল হককে সহকারী সচিব (প্রশাসন-১) এর শরিফ আব্দুল্ল হেল মুকিতের স্থানে, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ডকু) মোঃ সাহানুল হককে সরকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক (অনুমোদন) মো. আহসান আলীমের স্থলে বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে।

বোর্ডের প্রশা-০৫/১০৪/৩/ ২৯১০ নম্বর স্মারকে হিসাব শাখা (গ্রহণ) সেকশন অফিসার অফিসার মাকসুদ আল হাবিবকে কমন সার্ভিস শাখার মো, আবুল কালাম আজাদের স্থলে, কমন সার্ভিস শাখার সেকশন অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদকে প্রমাণপত্র শাখার সেকশন অফিসার মোঃ হারুন-অর-রশিদ স্থলে, বিদ্যালয় নিবন্ধন শাখার সেকশন অফিসার মোঃ নিলুফা সুলতানাকে অডিট শাখার সেকশন অফিসার মোঃ গোলাম রসুলের স্থলে, অডিট শাখা সেকশন অফিসার মোঃ গোলাম রসুলকে কলেজ অনুমোদন শাখার সেকশন অফিসার শহর আলীর স্থলে, কলেজ অনুমোদন শাখার সেকশন অফিসার মোঃ শহর আলীকে হিসাব শাখার (গ্রহণ ) সেকশন অফিসার মাকসুদ আল হাবিবের স্থলে, বিদ্যালয় অনুমোদন শাখার সেকশন অফিসার মোঃ মঞ্জুরুল হককে তত্বাবধান শাখার মো. রহমত আলীর স্থলে, কাউন্সিল শাখার সেকশন অফিসার মোজাম্মেল হককে বিদ্যালয় নিবন্ধন শাখার সেকশন অফিসার মোছা. নিলুফা সুলতানার স্থলে, প্রমানপত্র শাখার সেকশন অফিসার হারুন-অর-রশীদকে চেয়ারম্যানের (ভারপ্রাপ্ত) পিএস , প্রশাসন শাখার উচ্চমান সহকারি মো. মহিউদ্দিনকে হিসাব প্রধান শাখার মো. জুলফিকার আলীর স্থলে, তত্বাবধায়ক শাখার মোঃ রহমত আলীকে প্রশাসন শাখার সেকশন অফিসারের স্থলে, হিসাব প্রদান শাখার মোঃ জুলফিকার আলীকে বিদ্যালয় অনুমোদন শাখার শূন্য স্থলে বদলীর আদেশ দেয়া হয়।

জানা গেছে, শিক্ষামন্ত্রণালয় ২৮ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বোর্ডের সাবেক সচিব ড. মোল্যা আমীর হোসেনকে নিয়োগ দেয়। ২৯ জানুয়ারি তিনি যোগদান করেন।
বোর্ডের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, টাকার নয়ছয়, দুদকের মামলা ও বোর্ডের কর্মচারীদের অব্যহত বিক্ষোভের মুখে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট বোর্ডের সচিব পদ থেকে তাকে খুলনা সরকারি জয়বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে বদলী করা হয়। এসময় কর্মচারীরা তাকে তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। তিনি এসব কর্মচারীদের চিহ্নিত করে চেয়ারম্যানপদে যোগদান করে এক যোগে বদলী করেছেন বলে কর্মচারীরা দাবি করেছেন।