পাপিয়ার অপরাধ সাম্রাজ্যে ১২ রাশিয়ান তরুণী

উঠতি বয়সী মেয়েদের ব্যবহার করে অভিনব কৌশলে টাকা কামাতেন আলোচিত যুব মহিলা লীগ নেত্রী সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ। দেশের মেয়েদের পাশাপাশি এ কাজে তিনি ব্যবহার করতেন বিদেশি তরুণীদেরও।

১২ রাশিয়ান তরুণীকে ফাঁদে ফেলে ভিআইপি খদ্দেরদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ কামাতেন তিনি। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এমন তথ্য পাপিয়া নিজেই দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

পাপিয়ার বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছেন, বিশেষ ক্যামেরা ব্যবহার করে ভিআইপিদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ভিডিও করে রাখা হতো। পরে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের অর্থ।

তদন্ত কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, এসব কাজে পাপিয়াকে সহায়তা করতেন তার স্বামী সুমন চৌধুরী। বিমানবন্দর থানায় গতকাল মঙ্গলবার দিনভর পাপিয়া-সুমন দম্পতিকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় ঘনিষ্ঠ অনেক ভিআইপির নামও প্রকাশ করেছেন তারা। আর এসব তথ্য পেয়ে বিব্রত পুলিশ কর্মকর্তারা।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, পাপিয়া ও সুমনের মোবাইল ফোনে অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার সেভ করা। ওই ব্যক্তিদের সঙ্গেও তাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। গ্রেপ্তারের দিন পাপিয়া র‌্যাব কর্মকর্তাদের হুমকি-ধমকিও দিয়েছেন। এমনকি ধরার পরিণাম ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেন। ওই সময় মোবাইল ফোনে কয়েকজনের সঙ্গের কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে পাপিয়াসহ চারজনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেরে নেয়া হয়। এসময় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাদের ব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।