শেখ হাসিনার চিঠির প্রশংসায় চীনের প্রেসিডেন্ট

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সংহতি প্রকাশ ও সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সেই চিঠির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শি জিনপিং। এর ফিরতি বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সেই বার্তায় চীনের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন– ‘আপনার সহানুভূতি এবং সহায়তার প্রস্তাবসংবলিত চিঠিটি এমন এক অস্বাভাবিক মুহূর্তে এসেছে, যখন চীন করোনাভাইরাসের মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এমন সহমর্মিতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’

জিনপিং আরও লেখেন– ‘আপনার (বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী) চিঠিতে চীনের প্রতি বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ অনুভূতি যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এ জন্য চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, চীন সরকার ও চীনের জনগণের পক্ষে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

শি জিনপিং লেখেন– ‘আমরা চীনবাসী ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনে অংশ নিতে ইচ্ছুক এবং আপনাদের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।’

ভাইরাসটি মোকাবেলায় চীনের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার বিষয়ে জিনপিং বলেন, ‘করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সমগ্র জাতি সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের মাধ্যমে সর্বোচ্চ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীনের ভয়াবহ মহামারী মোকাবেলায় জোর প্রচেষ্টা চালানো মানে শুধু চীনা জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষা এবং নিরাপত্তা বিধানই নয়, অধিকন্তু বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য চলমান এই ভয়াবহ হুমকি রোধেও অবদান রাখা।’

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্টকে একটি পত্র পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে চীনে করোনাভাইরাসে প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে যে কোনো ধরনের সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের আগ্রহ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

এ ছাড়া ভাইরাসটি মোকাবেলায় চীনের বলিষ্ঠ ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

পত্রে চীনের প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনা লেখেন– ‘আপনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বাধীন চীন সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম হবে এবং সর্বোচ্চ সক্ষমতায় প্রয়োগে ভাইরাসের বিস্তার ঘটা বন্ধ হবে ও নিয়ন্ত্রণ আসবে।’

এর পর চিঠিতে শেখ হাসিনা লেখেন– ‘বাংলাদেশ সরকার এই দুরবস্থা লাঘবে যে কোনো সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে।’