বাংলাদেশের সব বন্দরে এখনই থার্মাল স্ক্যানার বসান: চীনা দূত

তার দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ৯৫ শতাংশ কমে গেছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে মহামারির আকার নেয়া করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চীন জয়ের পথে বলেও তার ভাষ্য। একইসঙ্গে বাংলাদেশকে কালবিলম্ব না করে এই মুহূর্তেই সব বন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বসানোর আহ্বান জানিয়েছেন চীনা দূত।

বুধবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ের জাজিরায় স্থাপিত প্রকল্প কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লি জিমিং এসব কথা বলেন।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের দেশে (চীন) যে মহামারি ঘটেছে, তার বিরুদ্ধে আমরা জয়লাভ করার পথে। কিন্তু এখন চীনের বাইরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। তাই আজ-কাল-পরশু নয়, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সব নৌ-স্থল-বিমান বন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বসানো অত্যন্ত জরুরি।’

বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশেও (ভারত) করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেকোনো স্থান থেকেই করোনাভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। আর সেই কারণে বাংলাদেশও ঝুঁকিতে আছে।’

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা সেতু ও সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে কর্মরত চীনা নাগরিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু এখানে তাদের ভিসা জটিলতা দেখা দিয়েছে। এসব প্রকল্পে কর্মরত চীনা নাগরিকদের ভিসা জটিলতা জরুরি ভিত্তিতে সমাধানের আহ্বান জানাই।’

এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ের পদ্মা ব্রিজ রেল লিংক প্রজেক্ট (পিবিআরএলপি) প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান, বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সিলর লিও ঝেন হুয়া, সিআরইসির পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক লিও জিয়ান হুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।