কুয়েতে যেতে লাগবে না করোনামুক্ত সনদ

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সবাহ আল খালেদ আল সাহবার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ ১০ দেশের নাগরিকদের জন্য দুদিন আগে জারি করা জরুরি ওই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছেন। খবর বিবিসির।

এর ফলে কুয়েতে যেতে বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, মিসরসহ ১০ দেশের নাগরিকদের আর মেডিকেল সার্টিফিকেটের (পিসিআর) প্রয়োজন নেই।

কিছু দেশের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে কুয়েতের মন্ত্রিসভা পিসিআর পরীক্ষা স্থগিত করেছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কী বলছে?

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলছিলেন, তারা কুয়েত সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জেনেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি সেটা আপাতত সেভাবেই রেখে দিচ্ছি। কুয়েত বলছে লাগবে না, কিন্তু যদি অন্য কোন দেশ বলে লাগবে, আমরা তাদের সহযোগিতা করছে চাই সেজন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছি। আর একান্তই যদি না লাগে তাহলে প্রস্তুতি গুটিয়ে নেয়া হবে।’

এর আগে কুয়েতের সরকার মেডিকেল সনদ লাগবে এই মর্মে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করলে তার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে এক বৈঠক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখান থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে কুয়েতগামী প্রবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ৭ মার্চ থেকে মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে শুরু হবে।

এজন্য কুয়েতগামী যাত্রীদের তাদের পাসপোর্ট, বিমানের টিকেট এবং ওয়ার্ক-অর্ডার অর্থাৎ কার্যাদেশের কপি সাথে নিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা জানিয়েছিলেন, শনিবার থেকে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে সেন্টার খোলা হচ্ছে।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০টি দেশ থেকে কুয়েতে যাবার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস মুক্ত থাকার সনদ দেখানোর কথা বলেছিল দেশটি। সেটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ৮ মার্চ থেকে।

এছাড়া কুয়েত সরকারের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাস মুক্ত থাকার সনদ সাথে না আনলে বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের কর্মীদের কুয়েতে ঢুকতে দেয়া হবে না এবং একই বিমানে সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

সেক্ষেত্রে কুয়েত সরকার কোনো খরচ বহন করবে না। তবে শেষ পর্যন্ত তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।