যশোরে ভাড়ার টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডায় রিকসা চালক খুন, আদালতে স্বীকারোক্তি

কাছে টাকা ছিল না। তারপর এক বন্ধুর কাছে বিকাশে ৫০০ টাকা পাঠাতে বলি। এর মধ্যে রিকসা চালক আব্দুল কাদের ভাড়ার টাকার জন্য বকাবকি শুরু করে। এরপর রিকসা থেকে নামলে সে আমার জামা ধরে মারতে যায়। তখন রাগের মাথায় মেলা থেকে কেনা টিপ চাকু দিয়ে কাদেরের পেটে ও হাতে আঘাত করি। এসময় রক্ত দেখে পালিয়ে যাই। এভাবে যশোরের রিকসাচালক আব্দুল কাদেররের ছুরিকাঘাতে খুন করার কথা স্বীকার করে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আটক সজিব গাজী। সে যশোর শহরের আশ্রম রোডের সহিদা মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া নুর মোহাম্মদ গাজীর ছেলে।

যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম নিকট জবানবন্দিতে সজিব গাজী আরো উল্লেখ করেছেন, তিনি একজন ফেরিওয়ালা। যশোর নতুন বাসটার্মিনাল থেকে একটি অটো রিকসা ভাড়া নিয়ে যশোর সদর উপজেলার মুড়লি মোড়ে যায়। সেখান থেকে সেই রিকসায় তিনি আবার একই উপজেলায় মালঞ্চীতে যান। রিকসা ভাড়া না থাকায় সেখান থেকে ফেরার সময় মোবাইলে একজনকে ৫০০টাকা পাঠাতে বলেন। এসময় রিকসা চালক আব্দুর কাদের রিকসা ভাড়া দাবি করেন।

রিকসা চালক আব্দুর কাদের খুন হওয়ায় তার স্ত্রী জাফুরা বেগম আটক সজিব গাজীকে আসামি করে মামলা করেছেন।

মামলায় উল্লেখ করেছেন, যশোর সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদের রিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। সোমবার বিকেলে তিনি রিকসা চালিয়ে যশোর-বেনাপোল সড়কের মালঞ্চিতে যান। ফেরার পথে যাত্রী সাজিবের সাথে তার ভাড়ার টাকা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আব্দুল কাদেরকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে সজিব পালিয়ে যায়। আহত কাদেরে চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়। গভীর রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ যশোর শহরের মুরগি ফার্ম এলাকা থেকে সজিবকে আটক করে। মঙ্গলবার আটক সজিবকে আদালতে সোপর্দ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মফিজুর রহমান।