বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট বিক্রি হচ্ছে: রিজভী

দেশের বিমানবন্দরগুলোতে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস মুক্তির সনদ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিমানবন্দরে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট বিক্রি করছে একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা। যে কারণে বিমানবন্দরে ইতালি থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে যারা দেশে এসেছেন, তাদের রোগ শনাক্ত হয়নি। দেশে ফেরার চার দিন পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তারা নিজেরাই চিকিৎসকের কাছে গেলে সরকার তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে তাদের একজনের স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ট নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে দেশজুড়ে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি হলেও সরকার এ নিয়ে রীতিমতো চরম উদাসীনতা ও খামখেয়ালিপনা প্রদর্শন করছে। তাদের সব মনোযোগ ও ব্যস্ততা মুজিববর্ষ পালন নিয়ে। দেশের সীমান্ত ও স্থলবন্দর অরক্ষিত, বিমানবন্দরগুলোতে স্ক্যানার মেশিন নেই, যা দু’একটি ছিল তাও আবার গতকাল নষ্ট হয়ে গেছে। মেগাপ্রকল্পের নামে দেশে হরিলুট চললেও মানুষের জীবন বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কোনো কার্যকর প্রস্তুতিই নেই।

রিজভী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা পেতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৩টি হটলাইন ফোন নম্বর চালু করেছে। তবে এই নম্বরগুলোতে ফোন করে কাউকে পাওয়া য়ায় না। রিং হতে থাকলেও কেউ রিসিভ করে না। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ, লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে সরাসরি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। বরং বাড়িতে থেকে হটলাইন নম্বরে ফোন করলে তারাই বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে বলে জানানো হয়েছে। বাস্তবে এটি ভাঁওতাবাজিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড নেই। ভেন্টিলেটর মেশিনও নেই। চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা বা সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিকেল মাস্ক ও ইউনিফর্ম নেই। ভাইরাস প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) নেই। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি বা উৎপাদনের কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় সেগুলো কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো হলেও তা নষ্ট হয়ে গেছে। করোনাভাইরাস নিয়ে দেশে প্রবেশ করলে শনাক্তের কোনো যথাযথ ব্যবস্থা নেই।