অভয়নগরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত যুবলীগ নেতার মৃত্যু

যশোরের অভয়নগরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় আহত যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেন (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার সময় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করেছিল চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।

উপজেলার ধোপাদী গ্রামের মাহাব্বুল সরদারের ছেলে নিহত মুরাদ হোসেন নওয়াপাড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ছিল।

নিহতের পরিবার জানায়, মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ১২ টার সময় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার ধোপাদী গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী রফিকুল মজুমদার ও তার বাহিনীর সাথে মুরাদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে মুরাদ ধোপাদী নতুন বাজারে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিল। এসময় রফিকুলের নেতৃত্বে তার ছেলে সাকিব মজুমদার, সাকিবের সহযোগি ইউসুফ মজুমদার, খলিল, সোহরাব, মেহরাব, ইলিয়াস, সুফিয়ান, বেল্লাল, আরজু, নাঈম সরদার, মিজানুর, সোহেল, নাছির গাজী ও রফিকুলের স্ত্রী জেসমিন বেগম কোন কিছু না বলে মুরাদকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আহত মুরাদকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

নিহতের বাবা বলেন, উল্লেখিত সকলের নাম সহ ১৫ জনকে আসামী করে ঘটনার দিন রাতে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেছিলাম। কি অপরাধ করেছিল আমার ছেলে। আমি হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম মুরাদ হোসেনের মৃত্যু নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলা এখন হত্যা মামলায় পরিণত হল। ইতোমধ্যে মামলার ৭ জন আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। মুলহোতা রফিকুল, তার ছেলে সাকিব ও ইউসুফ সহ ৮ জন পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামী আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।