যশোরের দুটি গ্রাম লকডাউন ঘোষণা স্থানীয় যুবকদের!

যৌক্তিক কারন ছাড়া লকডাউন হয় না : ইউএনও

সোমবার যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া ও নওয়াপাড়া গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় যুবকরা। গ্রামের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে নিজেরাই লকডাউনের ঘোষণা করেন তারা।

গ্রাম দুটির ৬ টি প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেট দেওয়া হয়েছে। একই সাথে গ্রামজুড়ে ছিটানো হয়েছে জীবাণুনাশক। প্রবেশ পথে রাখা হয়েছে হ্যান্ডস্যানিটাইজার। বাইরের এলাকার কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা তাদের গ্রামে। আবার যৌক্তিক কারন ছাড়া কাউকে গ্রাম থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছেনা।

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। যৌক্তিক কারন ছাড়া লকডাউন ঘোষণা করা যায়না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা অমরেশ বিশ্বাস নামের এক যুবক জানান, বাইরে থেকে অনেক লোকজন আমাদের গ্রামে এসে ঘুরাঘুরি করে। আজ সকালে (সোমবার) এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। তিনি বাইরের লোকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বলেন। আমরা বোয়ালিয়া গ্রামের দু’টি প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাইরের কাউকে আমাদেও গ্রামে ঢুকতে দেবনা। একই কথা বলেন তার সাথে থাকা পলাশ, সমীর, শ্যামল, জসীম, সৈকত ও সৌরভ।

এদিকে বোয়ালিয়ার গ্রামের মতো এ ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামকেও লকডাউন করেছে স্থানীয়রা। স্থানীয় ইউপি সদস্য রওশন ইজদানী জানান, নওয়াপাড়া গ্রামের চার গ্রামের পথ দোয়াল এলাকা, বটতলা এলাকা, বাহারুল ডাক্তারের দোকান এলাকা ও কালুডাঙ্গা এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় যুবকেরা।

এ ব্যারে জানতে চাইলে স্থানীয় দোহাকুলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার বলেন, ‘প্রতিদিন বাইরের লোকজন এই দু’গ্রামে এসে ভিড় করছে, আড্ডাবাজি করছে। এটা আমাকে জানায় কযেকজন যুবক। আমি তাদেরকে বলেছি বাইরের লোকজন প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি করতে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিযা আফরোজ বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। যৌক্তিক কারন ছাড়া লকডাউন ঘোষণা করা যায়না। কে বা কারা এটা করলো আমি খোঁজ নিচ্ছে৷