মণিরামপুরে ফের বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

যশোরের মণিরামপুরে ফের বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে।

‘লকডাউনের’ কারণে পরিবহন খরচ বেশি এবং সরবরাহ কমের কথা বলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন। যে যেমন পারছেন লুফে নিচ্ছেন মুনাফা। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতাও চোখে পড়ছে না। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন ঘরবন্দি কর্মহীন মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) মণিরামপুরের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ টাকায় আর খুচরা ৫৫ টাকা। রসুন প্রতিকেজি পাইকারি ৭০-৮৫ টাকা আর খুচরা ১০০-১৩০ টাকা, আলু পাইকারি ২০-২১ টাকা ও খুচরা ২২-২৫ টাকা। শুকনো মরিচের দামও বাড়তি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত একসপ্তাহ ধরে এসব পণ্য তাদেরকে ক্রমাগত বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

কথা হয় স্কুলশিক্ষক আব্বাস উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৩৫ টাকা কেজি। এখন তা ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন ৬৫ টাকার স্থলে ১০৫ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

মণিরামপুর খুচরা কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তুলনামূলক বেশি দামে নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, লকডাউনের কারণ দেখিয়ে পাইকারি বাজারে জিনিসের দাম বেশি। তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। ১৫ দিন আগে শুকনো মরিচের কেজি ছিল ২২০ টাকা; এখন তা ৪৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

মণিরামপুর পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী শিপন হোসেন বলেন, প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকায় পরিবহন খরচ গাড়িপ্রতি বেড়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। তারপরও মালের ঘাটতি রয়েছে। চাইলেই পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, অন্য এলাকা থেকে মণিরামপুরে জিনিসের দাম কম বলে দাবি এই ব্যবসায়ীর।

মণিরামপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুফলচন্দ্র গোলদার বলেন, নিত্যপণ্যের ঘাটতি থাকার কথা না। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে কোনো বাধা নেই। ব্যবসায়ীরা এসব অজুহাতে ক্রেতাদের জিম্মি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাজার মনিটরিং কমিটির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অভিযান চালানো হবে বলে জানান এই ম্যাজিস্ট্রেট।