মানবেতর জীবন কাটছে রূপদিয়ার তিন শতাধিক মোটরশ্রমিক

কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন কাটালেও খোঁজ রাখছেনা যশোরের রূপদিয়া অঞ্চলের প্রায় তিন শতাধিক মোটরশ্রমিকের।

সম্প্রতি দেশের করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারী নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে পণ্য ও যাত্রবাহী সকল পরিবহন বন্ধ রাখায় কর্মহীন হয়ে পড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটিলেও নূন্যতম সহযোগীতা পায়নি এখানাকার কোনো শ্রমিকরা। এতদিন অতিবাহীত হলেও সরকারী অথবা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও দেওয়া হচ্ছেনা সহায়তা ব্যাবস্থা।

শ্রমিক সংগঠনের স্থানীয় শাখা অফিসের তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া এলাকার প্রায় ৩’শতাধিক ব্যক্তি সড়ক পরিবহনের মোটর শ্রমিক রয়েছে ৯১৮ ও ২২৭ এর কার্ডধারী সদস্য।

জানাযায়, আমাদের দেশের সড়ক পরিবহনের মোটরশ্রমিকরা সাধারণত দৈনিক মজুরি বা ট্রিপ চুক্তি ভিত্তিতে চাকরি করে থাকেন। তাই তারা, দৈনিক শ্রমিকের মতো দিনে আনে দিনে খায় ভিত্তিতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ সেক্টরে কাজ করে থাকেন। গত ২৬ মার্চ থেকে সরকার ঘোষণা অনুযায়ী সব রুটে দেশে পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপজেলার প্রায় রূপদিয়া, চাউলিয়া, নরেন্দ্রপুর, হাটবিলা, শাখাঁরীগাতী, পদ্মবিলা এলাকায় ৯১৮ ট্রাক ও পরিবহণ ২২৭ যাত্রী পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নে আওতাভুক্ত প্রায় ৩’শ জনের বেশী সড়ক পরিবহণে’র মোটর গাড়ীর চালক তথা শ্রমিক সক্রিয় রয়েছে। দেশের এক্রান্তিকালে পরিবহণ সেক্টরের এসব শ্রমিকরা তাদের স্ত্রী-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এপর্যন্ত জেলা থেকে সাহায্য হিসাবে ত্রাণ, অর্থ কোন টাই পায়নি রূপদিয়া অঞ্চলে ট্রাক ও যাত্রী পরিবহণ অর্ন্তভুক্ত থাকা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা।

শ্রমিকরা দাবি করেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই দুর্যোগে আমাদের মত শ্রমিকদের পাশে না দাঁড়ালে পেশা পরিবর্তনের সম্ভবনা রয়েছে। যা এই সেক্টর আগামী দিনে সচল করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে বলে অনেকের ধারনা।