যশোরের নুরপুরে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্প

দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত,
বিদেশ ফেতরদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করণ, জনসচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনাসহ বিভিন্ন রকম কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন কর্তৃক খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলায় মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের অগ্রনী সাইত্রিশ ইউনিট কর্তৃক যশোরের নুরপুর এলাকায় আজ বুধবার মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। এর সার্ভিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ৮৮ পদাতিক ব্রিগেড। পরিচালনায় ছিলো অগ্রনী সাইত্রিশ ইউনিট। সহযোগিতায় রয়েছে ৭১ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল সার্জন যশোর ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ৮৮ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফয়সাল বাদল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলার দায়িত্বে থাকা অগ্রনী সাইত্রিশ ইউনিটের সিও লে, কর্নেল নেয়ামুল হোসেন এবং ৭১ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স ইউনিটের সিও লে.কর্নেল জেরিন আফরিন সহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার জন্য এই ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়।

ক্যাম্প পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা লে.কর্নেল নেয়ামুল সাংবাদিকদের জানান, তারা নিম্ন আয়ের মানুষের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য এই ক্যাম্প পরিচালনা করছেন।

তিনি বলেন, শুধু এখানেই না যশোর জেলার সব কয়টি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম পরিচালনা হবে।
৫৫ পদাতিক ডিভিশনের সামরিক ডাক্তার এবং মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট দ্বারা এই ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়।এখানে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে বিনা মুল্যে ঔষধ প্রধান করা হয়।

চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। সামাজিকতা বজায় রেখে হাসপাতালসহ অন্যান্য চিকিৎসা কেন্দ্রে এখন চিকিৎসা নিতে যাওয়া খুব সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর এই মেডিকেল ক্যাম্প তাদের জন্য খুবই উপকারী হয়েছে।এজন্য তারা সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

চিকিৎসা নিতে আসা ইজিবাইক চালক মিলন হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবদ বিভিন্ন রকম রোগে ভুগছিলাম। এই করোনা ভাইরাস আসার পরে আমার পক্ষে চিকিৎসা সেবা নেয়া সম্ভব ছিলো না। আজ এখান থেকে আমার রোগের জন্য সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ঔষধ পেয়ে আমি খুবই উপকৃত।এর জন্য আমি সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

উপস্থিত জনসাধারণ মনে করেন সেনাবাহিনী সবসময় যে কোন বিপদে তাদের সাথে থাকে। এজন্য তারা যশোর অঞ্চলের সেনাবাহিনীর সকল সদস্যদের মঙ্গল কামনা করেন।