ভারতের আসামের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে এক যুবকের মূত্রাশয় থেকে ফোনের চার্জারের ক্যাবল পাওয়া গেছে। চিকিৎসক জানান, ওই চার্জারের ক্যাবল দিয়ে হস্তমৈথুন করতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই যুবক। মূত্রনালী দিয়েই ওই চার্জারের ক্যাবল যুবক মূত্রাশয়ে প্রবেশ করিয়েছিলেন।
মিরর’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আগে কখনও হননি সার্জন ওয়ালি ইসলাম। রোগীর দাবি, চার্জারের ক্যাবল গিলে ফেলেছিলেন। কিন্তু, অভিজ্ঞ সার্জনের চোখে ফাঁকি দিতে পারেননি। যুবক যে মিথ্যে বলছেন, তা ধরতে এক সেকেন্ডও সময় লাগেনি ওই চিকিৎসকের।
ঘটনার পাঁচদিন পর তলপেটে ব্যথা নিয়ে আসাম হাসপাতালে আসেন ওই যুবক। তিনি চিকিৎসককে জানান দুর্ঘটনাবশত চার্জারের ক্যাবলটি গিলে ফেলেছেন। তার জন্য পেটে ব্যথা হচ্ছে। মল পরীক্ষা করার পরে, অস্ত্রোপচারের আগে একটি অ্যান্ডোস্কোপিও করানো হয়েছিল। কিন্তু, অস্ত্রোপচারের সময় গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে কিছু না পেয়ে, একটু অবাক হন তিনি। এক্স-রে করার সিদ্ধান্ত নেন। এক্স-রের সেই ছবিতেই ধরা পড়ে মূত্রাশয়ে আটকে থাকা চার্জারের ক্যাবল।
অস্ত্রোপাচারে সেটি মূত্রাশয় থেকে বের করার পর, ফেসবুকে ভিডিওসহ শেয়ার করেন ওই চিকিৎসক। উদ্ধার হওয়া সেই ক্যাবল এবং এক্স-রে প্লেটের ছবিও দেন তিনি।
“Surprises in Surgery! ক্যাপশন দিয়ে পোস্টে তিনি লেখেন, সার্জারিতে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা হওয়ার পরেও কিছু কিছু ঘটনা আজও আমার মেধা ও দক্ষতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। এর পরেই তিনি তিরিশের ওই যুবকের কথা বলেন। পেটে ব্যথা নিয়ে এসেছিল ছেলেটি। বলেছিল, ‘হেডফোন চলে গেছে পেটে।’ কিন্তু, পেটের ভেতর কোথায় কী! অ্যান্ডোস্কপিতে কিছু নেই। অস্ত্রোপচারেও কিছু পাওয়া যায়নি। যন্ত্রণার উৎস খুঁজতে গিয়ে অবশেষে এক্স-রে প্লেটে ধরা পড়ে মূত্রাশয়ে থাকা ফোন চার্জার। কোথা দিয়ে সেটে মূত্রাশয়ে প্রবেশ করেছে, আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন। সফল অস্ত্রোপচারের পর ছেলেটি এখন সুস্থ। তবে, তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে চিকিৎসকের মনেই প্রশ্ন আছে।
পোস্টের একদম শেষ লাইনে বিস্ময় প্রকাশ করে ওই চিকিৎসক লিখেছেন, ‘বাস্তবিকই এই পৃথিবীতে সবকিছুই সম্ভব!’