এবারও ৮.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির আশা

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে অর্থনীতির চাকা পুরোপুরি সচল কবে হবে সেই নিশ্চয়তা না থাকলেও বিদায়ী অর্থবছরের মতো এবারও ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির বড় লক্ষ্য ধরে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে বাংলাদেশের ৪৯তম বাজেটে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

এসময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ মন্ত্রী এবং এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। বেশির সংসদ সদস্য মুখে মাস্ক পরে ছিলেন।

প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ সময় ধরে চলা লকডাউনের কারণে রপ্তানি হ্রাস পাওয়া এবং প্রবাস আয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত না হওয়ায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধিার হার সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ পরবর্তী উত্তরণের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেছে ২০০২০-২১ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি হার ৮ দশমিক ২ ধরা হয়েছে।

এদিকে, আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৪ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ৪৯তম আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট।

করোনা মহামারীর বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশের সমান।

বিদায়ী অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৮ দশমিক ৩ শতাংশের সমান।