সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে শরণখোলায় ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার শুরু

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাগেরহাটের শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ৩৫/১ পোল্ডারের ক্ষতিগ্রস্থ অংশের সংস্কার ও নদীর তীর রক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ জুন) বিকেলে সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা আশার আলো মসজিদের সামনে থেকে এই কাজ শুরু হয়। এর পাশাপাশি আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট জলচ্ছাসে লোকালয়ে প্রবেশকৃত লবন পানি অপসারণেও কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে নদী শাসন করে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই কিলোমিটার (গাবতলা আশার আলো মসজিদ হয়ে বগি পর্যন্ত) অংশে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান করা হবে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাহিদুজ্জামান খান।

আম্পানের এক মাস পরে হলেও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা।

স্থানীয় এমডি শাহিন হাওলাদার, সবুজ শিকদার, রাজ্জাকসহ কয়েক জন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধের পাশ থেকে বাঁধ সংস্কার শুরু হয়েছে। এত আমরা খুশি হয়েছি।হয়ত কিছু দিন শান্তিতে থাকতে পারব। কিন্তু নেদী শাসন করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান না হলে এই দূর্দশা কমবে না বলে দাবি করেন তারা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় বাঁধ সংস্কার শুরু হয়েছে।আশা করি খুব দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান হবে।এই অঞ্চলের মানুষের দুঃখ দূর্দশা শেষ হবে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাহিদুজ্জামান খান বলেন, ৩৫/১ পোল্ডারের ১৭‘শ মিটার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার ও ৬‘শ মিটার নদীর তীর সংরক্ষন কাজ শুরু হয়েছে।দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, ঝুকিপূর্ণ দুই কিলোমিটার অংশে নদী শাসন করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পটি অনুমোদন হবে। আমরা নদী শাসনের কাজ শুরেু করতে পারব।