বাঘারপাড়ার ঐতিহ্যবাহী কয়ার বটতলায় পাঁচ শতাধিক বৃক্ষরোপণ

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা রাকিব হাসান শাওন ১২ হাজার বিভিন্ন জাতের চারাগাছ রোপণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ জুন) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক বরেণ্য কথাশিল্পী শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে যশোর জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বৃক্ষরোপন এ কর্মসূচির উদ্বোধণ করা হয়।

এদিন দুপুরে বাঘারপাড়ার ঐতিহ্যবাহী কয়ার বটতলা এলাকায় নেতৃবৃন্দ পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন জাতের চারা গাছ রোপণ করেন। করোনাসংকটের এই মূহুর্তে বড় কোন আয়োজন না করে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি হাতে নেয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এ সংগঠন। রোপণকৃত চারার মধ্যে রয়েছে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ।

জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্বাধীনতা চেতনার পক্ষের নায়ক। প্রতি বছর তার মৃত্যুবার্ষিকীতে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিলেও করোনা সংকটের কারনে এ বছর কর্মসূচি সীমিত করে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।’

জানতে চাইলে বাঘারপাড়া উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান শাওন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় উপজেলাজুড়ে ১২ হাজার বিভিন্ন জাতের চারাগাছ রোপণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। প্রথম দিনে পাঁত শতাধিক গাছ রোপণ করে এ কর্মসূচির উদ্বোধণ করা হয়।’

সংক্ষিপ্ত অথচ প্রাণবন্ত এ কর্মসূচির শুভ সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্তিত ছিলেন জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হারুন-অর-রশিদ,সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা সাজেদ রহমান বকুল, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, যশোর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন দোদুল, আইডিইবি যশোরের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি প্রণব দাস, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক শামছুদ্দিন জ্যোতি, বাঘারপাড়া উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শহিদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান শাওন,মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, রোটারিয়ান আবু হুরায়রা, সাজ্জাদ খন্দকার প্রমূখ।