বেনাপোল বন্দরে আবারও আমদানি বানিজ্য বন্ধ

banapole
পুরাতন ছবি

রফতানি পণ্য ভারত গ্রাহন না করায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা রফতানি পণ্য গ্রহনের দাবিতে আমদানি বানিজ্য বন্ধের ডাক দেয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় বেনাপোল চেকপোষ্টে আমদানি পণ্য বন্ধের ঘোষনা দেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় চেকপোষ্ট এলাকায় সিএন্ডএফ এজেন্ড কর্মচারীরা ও ভারত রফতানি পণ্য না নিলে আমদানি পণ্য বানিজ্য বন্ধের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেন।

করোনা মহামারি দুর্যোগের জন্য বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৭৫ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে গত ৬ জুন এ পথে আমদানি বানিজ্য চালু হলেও রফতানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে। ভারত সরকার ও সেদেশের ব্যবসায়ীরা সেদেশের পণ্য বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দিলেও বাংলাদেশি রফতানি পণ্য নিতে তারা অস্বীকার করছে। বেনাপোল চেকপোষ্ট এলকায় রফতানি পণ্যর গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এসব গাড়িতে গার্মন্টস পণ্য ও পাটজাত পণ্য থাকায় রোদ বৃষ্টিতে ভিজে যেয়ে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ীরা।

বেনাপোল সিএনএফ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারত আমদানি পণ্য দিলেও তারা রফতানি পণ্য গ্রহন করছে না। যার জন্য রফতানি কারক ব্যবসায়ীরা আমদানি বানিজ্য বন্ধের ডাক দেয়। এর জন্য আজ সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে ভারত থেকে কোন আমাদানি পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। বেনাপোল বন্দরে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় ৭/৮ শত রফতানি বাহি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন রোডে। এদিকে রফতানি পণ্য ভারতে ঢুকাতে না পেরে ট্রাকের ডেমারেজ দিতে হচ্ছে রফতানি কারকদের।

বেনাপোল কাস্টমস এর কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমুর রহমান বলেন, রফতানি পণ্য ভারত গ্রহন না করায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আমদানি বানিজ্যে বন্ধের ঘোষনা দেয়। যার জন্য সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বানিজ্য বন্ধ রয়েছে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ ওয়েলফেয়ার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে রফতানি পণ্য নেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যদি মনে করে তারা এই ভাইরাসের কারনে আমদানি পণ্য নিবে না তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার। আমাদের বিধি নিষেধ থাকার কারনে আমরা বাংলাদেশ থেকে রফতানি পণ্য নিতে পারছি না।