ক্রিকেটার রুবেলের পার্কে হরিণ শাবকের মৃত্যু

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের লিজ নেওয়া বাগেরহাট শহরের পৌর পার্কে একটি হরিণ শাবকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে পার্কের অভ্যন্তরে হরিণ শাবকটিকে মাটি চাপা দেয় পার্কের কর্মীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের অভ্যন্তরে হরিণ থাকার ঘরে শাবকটিকে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। শাবকটির মুখ থেকে লালা বের হচ্ছে দেখতে পেয়ে পার্কের কর্মীরা ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে জানান। পরে বাগেরহাট জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান পার্কে এসে সাবকটিকে মৃত ঘোষনা করেন।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন বলেন, সখের বসে সরকারি অনুমতি নিয়ে পার্কে হরিণ পালনের ব্যবস্থা করি। দর্শনার্থীদের সাথে আসা শিশুরা হরিণ দেখে আনন্দ পায়। আমি ৪টি হরিণ এনেছিলাম। কয়েকমাস আগে একটি হরিণ দুটো বাচ্চা দিয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ বাচ্চাটি আজ মারা গেল। মারা যাওয়া সাবকটির বয়স ছিল ৪ থেকে ৫ মাস। খুব সখের ও আদরের ছিল হরিণগুলো। বাচ্চাটি মারা যাওয়ায় আমি খুব কষ্ট পেয়েছি।

রুবেল আরও বলেণ, মারা যাওয়া বাচ্চাটির পায়ে একটি লাল ফোলা চিহ্ন রয়েছে। আসলে কিভাবে কেন মারা গেল, তা বলতে পারছি না। জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমানের পরামর্শে শাবকটিকে পার্কের এক পাশে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান বলেন, হরিণের সাবকটি আমি পার্কে পৌছানোর আগেই মারা গেছে। আসলে কেন মারা গেছে তা নির্দৃষ্ট করে বলা যায় না। হরিণ খুব সেন্সেটিভ প্রানী। তাই যেকোন সমস্যায় মারা যেতে পারে। তবে পার্কের সাবকটি ফুড পয়জোনিংয়ের কারণে মারা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।