আরো ৪১ মৃত্যু, শনাক্ত ৩,০৫৭

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৭০৯ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ১০ হাজার ৫১০ জন।

আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩৪ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। এঁদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৭০৯ জনের।

এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ১৩৮ জন এবং নারী ৫৭১ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৮৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৮৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭৯৯ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ২১১ জন।

জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগের পাঁচজন এবং রংপুর বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন এবং বাসায় ১০ জন।

বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৩২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬৮৮ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৪৯ জন, খুলনা বিভাগের ১৭৮ জন, বরিশাল বিভাগের ১০০ জন, সিলেট বিভাগের ১২৫ জন, রংপুর বিভাগের ৯১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৮ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৪১ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৩৯৭ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ১৪৯টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৮৯৮টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তিন হাজার ৫৭ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ১০ হাজার ৫১০ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৯টি।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৭১০ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৫১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪৩ হাজার ৬৮০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৬৭১ জন।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন দুই হাজার ২২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ১৪ হাজার ৫০৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩৭৫ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৫৫ হাজার ৪২৪ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৭৯ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৪৯১টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।