বাঘারপাড়ার সাবেক পৌর মেয়র খলিলুর কারাগারে

যশোর বাঘারপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র খলিলুর রহমানের ক্ষমাতার অপব্যবহার ও দূর্নীতির মামলার সাজা বহাল রেখে আপিল খারিজ হওয়ার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

মঙ্গলবার যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে বিচারক শামসুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। খলিলুর রহমান বাঘাপাড়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও দোহাকুলা গ্রামের মৃত সুফি আবু দাউদ হোসেনর ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, বাঘারপাড়ার দোহাকুলা গ্রামের মৃত আমির আলী বিশ্বাসের ছেলে ব্যবসায়ী মশিয়ার রহমান দোহাকুলা বাজারের উত্তরপাশে নদীর পাড়ে খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসাছিলেন। জমির পরিমান ছিল ১০ বর্গমিটার। ২০১০ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে খলিলুর রহমান কয়েকজন অপরিচিত লোক নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। ২১ জানুয়ারি রাতে তিনি জমিতে প্রাচীর দিয়ে দখল নিয়ে নেন। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহন না করায় ২৪ জানুয়ারি তিনি দুদকে অভিযোগ দেন। দুদক কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ২৬ জানুয়ারি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একটি পিটিশন মামলা করেন মশিয়ার রহমান। অভিযোগটি গ্রহন করে দূর্নীতি দমন কমিশন ঢাকাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন বিচারক। এ অভিযোগের তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় খলিলুর রহমানাকে অভিযুক্ত করে আদলতে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারি পরিচালক আমিনুর রহমান।

মামলাটি পরবর্তিতে চার্জ গঠন করে স্বাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামি খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর সাজাপ্রাপ্ত খলিলুর রহমান যশোর স্পেশাল জজ আদালতের দেয়া সাজার বিপক্ষে হাইকোর্টে আপিল করেন। যার নম্বর ৭০৪৩৯/২০১৬। আপিল বিভাগ মামলার র্পণাঙ্গ শুনানী শেষে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর বিচারক মো.শওকত হোসাইন এক রায়ে পূর্বের সাজা বহাল রেখে আপিল খারিজ করে দেন। এ আদেশ যশোর আদালতে এসে পৌঁছালে গত বৃহস্পতিবার খালিলুর রহমানকে আদালতে আত্মসমর্পণ করাতে তার আইনজীবীকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।