অস্ত্র মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি সাহেদের

অস্ত্র আইনে করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ‘ন্যায়বিচার’ প্রত্যাশা করেছেন।

আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে অস্ত্র আইনে করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। এসময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।

এ সময় আদালত সাহেদকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি সাফাই সাক্ষী দেবেন কি-না। উত্তরে সাহেদ বলেন, ‘আমি সাফাই সাক্ষী দেব না।’ এসময় আদালত বলেন, ‘আপনি দোষী না নির্দোষ?’ উত্তরে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ‘ন্যায়বিচার’ প্রত্যাশা করেন।

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার সাহেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এসময় আদালত বুধবার আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

এ মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শায়রুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক তপন চন্দ্র শাহ, এএসআই রবিউল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, হাসান মাহমুদ, এডিসি বদরুজ্জামান, এসআই কবির হোসেন, জৈনক চান মিয়া, নিজামুল ও মামলার বাদী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এস এম গাফফারুল আলম সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত ২৭ আগস্ট সাহেদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। পরে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। ১৯ আগস্ট মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াত মামলার অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর মামলার নথি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন।

এর আগে ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় গত ২৬ জুলাই তাকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর গত ১৯ জুলাই তাঁকে নিয়ে উত্তরায় অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ। সেখান থেকে সাহেদের গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।