কোনো ধরনের গাফিলতি নিরাপত্তা বাহিনী দেখায়নি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

kamal
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় যারা অপরাধী তাদের খুব শিগগিরই আইনের মুখোমুখি করা হবে। এ ধরনের জঘন্য অপরাধ যারা করে, তাদের আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। এ ঘটনায় দুজন বাদে আমরা সবাইকে ধরে ফেলেছি। এখানে কোনো ধরনের গাফিলতি নিরাপত্তা বাহিনী দেখায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাম্প্রতিক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা (কভিড-১৯) পরিস্থিতিতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যথাযথভাবে কাজ করছে বলেই দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পেরেছি। এই যে ঘটনাগুলো ঘটছে যেমন- ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফির মতো করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে নারীর ওপর যেভাবে নির্যাতন হয়েছে। এটা আমি বলব যে এ ধরনের জঘন্য অপরাধ যারা করে অবশ্যই আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি তারা পাবে। আমরা সেই কাজটিই করব, যাতে করে একটা সুন্দর তদন্ত রিপোর্ট আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী দিতে পারে। সে জন্য আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।

নোয়াখালীর ঘটনাটি এক মাস আগের, এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন কী করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণত যারা ভিকটিম তারা চাপিয়ে, লুকিয়ে যায়, প্রকাশ করতে চায় না। এই জায়গায় কি সে ধরনের হয়েছে কি না আমি জানি না। যখনই আমাদের নজরে এসেছে, তখন থেকেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ শুরু করেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে অপরাধীদের ধরে ফেলেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটের এমসি কলেজে যে ঘটনাটি ঘটেছে, এটা দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত হয়েছে, তারা জঘন্য অপরাধ করেছে, তাদের সে জন্য শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে। সে জন্য আমরা একটা নির্ভুল তদন্ত রিপোর্ট দেব, যাতে সেখানে তারা শাস্তি পায়। আর নোয়াখালীতে যেটা ঘটেছে সেটা বর্বরতার চরম সীমা- আমরা যা দেখলাম। একজন বিবেকবান মানুষ এ ধরনের কাজ করতে পারে বলে আমার কাছে মনে হয় না। এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দুজন বাদে আমরা বাকি কয়েকজনকে ধরে ফেলেছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরো বলেন, আমি সব সময় বলেছি, এ ধরনের ঘটনার পরপর আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করছি এবং ধরছি। এখানে কোনো ধরনের গাফিলতি নিরাপত্তা বাহিনী দেখায়নি। সব জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী যথাযথভাবে কাজ করছে। আমরা খুব শিগগিরই অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি করব, যাতে সর্বোচ্চ শাস্তিটি পায়। সে জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন আছে বলেই আমরা অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হয়েছি এবং আইনানুযায়ী তাদের ব্যবস্থা করার জন্য বিচারকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি এমন হতো, আমরা ও আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চুপচাপ বসে আছে, তাহলে বলতে পারতেন আইনের শাসন নেই। স্থানীয় প্রশাসন, ইউএনও, ডিসি, এসপি- সবাই একসঙ্গে কাজ করছে এসব ধর্ষক ও সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে। এই সমাজবিরোধীরা মানুষ নয়, অমানুষ। আমি বলব, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। এ জন্যই অপরাধীদের ধরতে ও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছি।

বিচারহীনতার কারণে এ ধরনের ঘটনা বেশি হচ্ছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিচার তো সব জায়গায় হচ্ছে। আমরা অনেক অভিযোগ পাচ্ছি, সেগুলো আমলে নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তদন্ত করে তাদের ধরছে ও ব্যবস্থা নিচ্ছে। যেখানেই অভিযোগের সত্যতা পাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে বাদ দিচ্ছে না, সবাইকে ধরছে।