৬৫ শতাংশ বেতন কর্তন : ফুটবলারদের অসন্তোষ

কোভিড-১৯ এর প্রভাব বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে সেভাবে পড়েনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আর্থিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় খেলোয়াড়েরা যেমন বেতন পাচ্ছেন, তেমনই মাঠে ফিরেছে খেলা। ঠিক এর উল্টো ঘটনা ঘটছে দেশের ফুটবলে। নতুন মৌসুমে রানা-মামুনুলদের ৬৫ শতাংশ বেতন কর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন পারিশ্রমিক ৪০ শতাংশ করার যে ‘নিশ্চয়তা’ দিয়েছিলেন; তার বাস্তবায়ন হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন ফুটবলাররা।

গতকাল বৃহস্পতিবার পেশাদার লিগ কমিটির সভায় ২০২০-২১ মৌসুমে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়। এ বিষয়ে কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘এর আগে আলোচনা করে আমরা আগের চুক্তির ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা বলেছিলাম। পরে খেলোয়াড়রা সভাপতির সঙ্গে বসেছিলেন। তবে বাস্তবসম্মতভাবে আমরা মনে করেছি, কোভিড-১৯ এর কারণে ক্লাবগুলোর অবস্থা শোচনীয় এবং এখনও অনুদানভিত্তিক অনেক ক্লাব আছে। সব ক্লাবের স্থায়ী আয়ের উৎস একই রকম নয়। সে কারণে ক্লাবগুলো এবং খেলোয়াড়দের কথা বিবেচনায় এনে তাদের পারিশ্রমিক ৩৫ শতাংশ করেছি।’

তবে পেশাদার লিগ কমিটির এমন সিদ্ধান্তে খুশি নন জাতীয় দল ও আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা। আবারও সভাপতি সালাউদ্দিনের কাছে যাওয়ার কথাও শোনা গেছে তার মুখে, ‘এই সিদ্ধান্তে আমরা মোটেই খুশি নই। সভাপতি আমাদের ৪০ শতাংশের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেটা কমানো হয়েছে। আমরা আবারও সভাপতির কাছে যাব। শীর্ষ কিছু ফুটবলার হয়তো এই হিসেবের বাইরেও ক্লাবগুলোর কাছ থেকে কিছু টাকা বেশি পাবে। কিন্তু এখানে আমরা ব্যক্তিগত কোনো দাবি বা সুবিধা নিতে আসিনি। আমরা এসেছি ঐক্যবদ্ধ হয়ে। সবার জন্যই একরকম সিদ্ধান্ত কামনা করছি।’