যুব ক্যাম্পের ১৫ জন আইসোলেশনে

BangladeshnCricket Board bcb

নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নির্ধারিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ পিছিয়ে যাওয়ায় এমনিতেও আবাসিক অনুশীলন শিবির বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে বিকেএসপিতে যুব দলের স্কিল ক্যাম্পে কভিড উপসর্গের হানায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) দ্রুতই সে সিদ্ধান্তে যেতে হলো। অন্তত ১৫ জন জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় শিবির বন্ধ করে দিয়ে তাঁদের পাঠানো হয়েছে আইসোলেশনে। এঁদের মধ্যে আছেন গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারতকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কান কোচ নাভিদ নেওয়াজও।

অবশ্য কভিড পরীক্ষায় তিনি পজিটিভ হননি বলেই নিশ্চিত করেছেন যুব দলের ম্যানেজার সজল চৌধুরী। জাতীয় দলের সাবেক এই পেসার নিজেও নানা উপসর্গ থাকায় পরীক্ষা করিয়েছেন, ‘আমিও পরীক্ষা করিয়েছি। তবে কভিড উপসর্গ থাকায় আইসোলেশনে আছি। কোচ নাভিদ নেওয়াজ ঢাকায় তাঁর জন্য নির্ধারিত বাসায় আইসোলেশনে আছেন। তিনিও নেগেটিভ হয়েছেন।’ কোচ-ম্যানেজার-খেলোয়াড় মিলিয়ে কভিড উপসর্গ নিয়ে কতজন আইসোলেশনে আছেন, জানতে চাইলে সজলের জানানো সংখ্যাটিও কম ভীতিকর নয়, ‘সব মিলিয়ে ১৫ জনের মতো আইসোলেশনে আছে।’

যা এই বার্তাও দিচ্ছে যে কঠোর বায়ো-বাবল বা জৈব সুরক্ষা বলয়ও কভিড মুক্ত থাকার নিশ্চয়তা নয়। ক্রিকেটার-কোচ-কর্মকর্তা তো বটেই, সংশ্লিষ্ট সবার করোনা পরীক্ষা করে তবেই বিকেএসপির অনুশীলন শিবিরে তোলা হয়েছিল আলাদা ব্যবস্থাপনায়। আবাসন ও খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সব কিছুই ছিল নির্দিষ্ট গণ্ডির ভেতরে, যেখানে বাইরের কারোরই প্রবেশাধিকার ছিল না। এর আগে গত আগস্টেও একই প্রক্রিয়ায় ৪৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে হয়েছিল প্রথম পর্যায়ের শিবির। তখন নির্বিঘ্নেই অনুশীলন শেষ করা গেলেও এবার আর তা হলো না। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিবিরে খেলোয়াড় সংখ্যা কমে ৩০-র নিচে নেমে এসেছিল। এর অর্ধেকের মাঝেই যখন নানা উপসর্গ দেখা দেয়, তখন শিবির চালিয়ে গেলে অন্যদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয় বলে সেটি বন্ধই করে দেওয়া হলো।

এর আগে অনুশীলন শিবিরে থাকা সবারই কভিড পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গতকাল ফলও পাওয়া গিয়েছে। তাতে কারো কভিড আক্রান্ত হওয়ার দুঃসংবাদ মেলেনি বলেও জানালেন ম্যানেজার সজল, ‘কেউই পজিটিভ হয়নি বলে জানি।’ নিজেও কভিড উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে আছেন বলেই হয়তো তাঁর জানায় কিছুটা কমতি থেকে থাকতে পারে। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান খালেদ মাহমুদের কথায় তা-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক, ‘পরীক্ষায় তিনজন কভিড পজিটিভ হয়েছে।’ আক্রান্তদের পাশাপাশি উপসর্গ আছে, এমন ক্রিকেটারদের সবাইকেই বিসিবির ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানালেন মাহমুদ, ‘আমরা ওদেরকে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে (শেরেবাংলা স্টেডিয়ামসংলগ্ন) আইসোলেশনে রেখেছি। ওখানে থাকার ভালো ব্যবস্থাও আছে।’