রাজনীতি করা আমার অধিকার, সেটা করতে দেয়া হচ্ছে না: জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাকে রাজনীতি করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই সরকারের সব কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রবিরোধী। আমাদের সংবিধানে আমার কথা বলার অধিকার আছে, আমার রাজনীতি করার অধিকার আছে, জনগণের কাছে আমার বক্তব্য দেয়ার অধিকার আছে। কিন্তু সেটা আমাকে করতে দেয়া হচ্ছে না।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দাবি বাতিল পরিষদ’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। আজকে দেশে ভিন্ন নামে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এটা চলতে পারে না। আজকে জনগণকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। এ জাতীয় বাধা দেয়ার কারণে কী?

তিনি বলেন, আজকের জনগণকে প্রকৃত মানবিক এবং সুষ্ঠু গণতন্ত্র দিতে হবে। সবাইকে কথা বলার অধিকার দিতে হবে। সুষ্ঠু ও মানবিক গণতন্ত্র ছাড়া আমাদের মুক্তির কোনো পথ নেই।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতগুলো কাজ আপনি করছেন ক্রমেই তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। যেমন ধরেন- সদ্য নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে যে আইনের সংশোধনী এনেছেন- ফাঁসি। এই ফাঁসি দিয়ে পৃথিবীর কোথাও কোনো পরিবর্তন হয়নি। এটা মধ্যযুগীয় শাস্তি। আপনারা পত্রিকা খুলে দেখেন, এই আইন করার আগে ও পরে এক ফোঁটাও অপরাধ কমেনি। বরং বেড়েছে। এখন বাড়তে বাড়তে শিশুর ওপরই হচ্ছে, স্কুলে হচ্ছে, মাদরাসায় হচ্ছে। এতো বড় ভুল কি করে উনি (প্রধানমন্ত্রী) করলেন?

তিনি বলেন, আজকে দেখলাম তোফায়েল (তোফায়েল আহমেদ) সাহেব বলেছেন- আমার আর কিছু পাওয়ার নাই। বঙ্গবন্ধুর স্নেহ পেয়েছি। এটা উনার আক্ষেপের কথা। তার মতো লোক শেখ হাসিনার পাশেই থাকা উচিত। দলের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী আলাপ করেন না, আমাদের সঙ্গে আলাপ করবে কেন?

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক সৈয়দ হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- ভাসানী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মমতাজ চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, এনডিপির মহাসচিব সৈয়দ মনজুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক এফএম এম ফয়েজ হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোট ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন ও গ্রিন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ প্রমুখ।