যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য সংকটে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ

করোনা মহামারির কালো থাবায় মন্দায় পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। থাবা থেকে বাদ যায়নি বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও। ট্রাম্প প্রশাসনের নানা ধরনের সহযোগিতার পরও খাদ্য সংকটে পড়েছে দেশটির প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ। খবর রয়টার্সের।

উইসকনসিনকেন্দ্রিক খাদ্য সহায়তা সংস্থা ক্রুসেডার অফ জাস্টিকা বলছে, তারা আগে দৈনিক ১২৫টি পরিবারকে খাবার বিতরণ করত। কিন্তু বর্তমানে করোনা সংকট শুরুর পর থেকে দৈনিক তিন হাজার পরিবারকে খাবার দিচ্ছে৷ তবুও কমছে না খাদ্য সংকটের।

ফিডিং অ্যামেরিকা নামের একটি সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংকটের সময় যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ খাদ্যসংকটে পড়েছে৷ এ সংকট সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে নর্থ ডাকোটা, মিনেসোটা এবং উইসকনসিনে৷

গেল জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ কিন্তু করোনাভাইরাস ফুড অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (সিএফএপি) থেকে সরাসরি দেয়া এই অর্থের বণ্টন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ উইসকনসিনে শতকরা ৯২ ভাগ কৃষক যে অর্থ পেয়েছেন তা খামার চালানোর একমাসের খরচের চেয়েও কম৷

ফলে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ৷ আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন৷

সোমবার উইসকনসিনে মতামত জরিপ চালিয়েছিল রয়টার্স/ইপসোস৷ সেখানে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জার বাইডেন আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৪ ভাগ ভোট৷ এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যপণ্যের দামও বাড়ছে৷ গেল জুনে রুটির দাম বেড়ে যায় শতকরা ২০ ভাগ আর মাংসের দাম ১৭ ভাগ৷

ইউএফডাব্লিউ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডায়ানা টেলেফসন মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে খাদ্যসংকটের অন্যতম কারণ সকারের অর্থ এবং খাদ্য সহায়তা সবার কাছে না পৌঁছানো৷