মাশরাফির চোট, ফিটনেস পরীক্ষা সাকিবেরও

shakib masrafi

ফিটনেস ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে তিনি মিরপুরের সিটি ক্লাব মাঠে ফুটবল খেলতে শুরু করেছিলেন। তবে মাশরাফি বিন মর্তুজার হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট ফুটবল খেলতে গিয়ে নয়। একই মাঠে গত ১৮ অক্টোবর রানিং করার সময় হুট করেই চোট পাওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডাক্তার ও ফিজিওদের সঙ্গে যোগাযোগও করেন বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক। তাঁকে স্ক্যান করাতে বলা হয়েছে। কিন্তু এখন বাসা থেকে বের হওয়ারও উপায় নেই। মেয়ে হুমায়রা মর্তুজা ও ছেলে সাহেল মর্তুজা কভিড পজিটিভ হওয়ায় মাশরাফি নিজেও যে ঘরবন্দি। তাই নভেম্বরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠেয় পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিনি খেলতে পারবেনই, এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

তবে এটি নিশ্চিত যে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা শেষ করে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা সাকিব আল হাসানকে ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই খেলতে হবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরে। সম্প্রতি বিসিবির বায়ো-বাবল বা জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য বিপ টেস্টে ফিটনেস প্রমাণ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাকিবকেও একই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘অন্যদের জন্য যা, সাকিবের জন্যও তা-ই।’ মাশরাফির চোটের ধরন কেমন, সেটি নিয়ে অবশ্য এখনো নিশ্চিত নন এই নির্বাচক, ‘মাশরাফির সঙ্গে আমাদের (নির্বাচকদের) কথা হয়েছে। আসলে চোট কোন পর্যায়ের, তা স্ক্যান না করানো পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। আবার সে বাসা থেকেও বের হতে পারছে না। আমাদের তাই অপেক্ষা করতে হবে।’ বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর কণ্ঠেও একই সুর, ‘চোট পাওয়ার দুই দিন পর মাশরাফির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। স্ক্যান করালে বোঝা যাবে ওর চোটটা কোন গ্রেডের এবং সে জন্য কত দিন বাইরে থাকতে হবে। আমি যত দূর জানি, ওর আইসোলেশন শেষ হবে ৭-৮ নভেম্বরের দিকে। এর আগে তাই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কিছুই।’