রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে উচ্চ শিক্ষার প্রাঙ্গণ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের নামে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এ বিদ্যাপীঠের অবস্থান কুষ্টিয়া জেলার প্রাণকেন্দ্রে। তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রেখে বর্তমানে মোট ৫টি অনুষদের (কৃষি, আইন, সমাজ বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং ব্যবসায় প্রশাসন) বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক(সন্মান) এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মানসম্মত পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। করোনাকালীন পরিস্থিতিতেও ভার্চুয়াল ক্লাসের মাধ্যমে মানসম্মত পাঠদান অব্যাহত রেখেছে এই নবীন বিদ্যাপীঠ।

রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ এর সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড.জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ মান অক্ষুণ্ন রেখে নৈতিক গুণাবলী সমৃদ্ধ প্রকৃত মানুষ তৈরী করাটাই হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য কাজ। যারা তাদের সৃষ্টিশীলতা এবং অর্জিত জ্ঞান দিয়ে রুপান্তরিত হবে দক্ষ জনশক্তিতে, নেতৃত্ব দেবে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দেশে এবং দেশের বাইরে। যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে “Learning, Creating and Leading”।

প্রথিতযশা অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শ এবং সংশ্লিষ্টতায় এই বিদ্যাপীঠ ইতোমধ্যেই পেয়েছে মানুষের আস্থা, হয়ে উঠছে অনন্য থেকে অনন্যতর এবং লালন করছে নিজেস্ব স্বকীয়তা।বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের আসন অলংকৃত করছেন যথাক্রমে প্রবীন অধ্যাপক ড.শাজাহান আলী এবং সহকারী অধ্যাপক ড.ইসমত আরা।

শিক্ষার্থীদের মানবীয় গুণাবলী বিকাশের লক্ষে এই বিশ্ববিদ্যালয় সহশিক্ষা কার্যক্রমকেও দিচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব। সাহিত্য চর্চা, বিতর্ক, সংগীত, আলোকচিত্র সহ বিভিন্ন আর্ট ফর্ম নিয়ে আলোচনা ও সেমিনার পরিচালিত হয় নিয়মমাফিক। এছাড়া করোনাকালীন পরিস্থিতেও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার জনকল্যাণে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। নিজদের ল্যাবে প্রস্তুতকৃত সুরক্ষা সামগ্রী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ পরবর্তী সেমিস্টারে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির বিষয়টিও নিয়েছে বিশেষ বিবেচনায়। আগ্রহী প্রার্থীরা ১৫ নভম্বর, ২০২০ পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবে ভর্তি ফি ছাড়াই। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বিস্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.rmu.ac.bd তে বা ফেসবুক পেজে https://www.facebook.com/official.rabindramaitree/।

রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিশ্বাস করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অচিরেই এই বিদ্যাপীঠ হয়ে উঠবে উচ্চ শিক্ষার পরিমন্ডলে গৌরবের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।