ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ আরো তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। তারা হলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবিব, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী ও পুলিশের কনস্টেবল পলাশ চন্দ্র হাওলাদার ।
আজ রবিবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৩৪ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
এর আগে কারাগারে আটক চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে পলাতক দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন না। এরপর সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের জেরা করেন। এসময় আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. আরাফাত রহমান ও শফিউর রহমান ফারাবি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার পরের দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এরপর একই বছরের ১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।