‘ক্যাসিনো খালেদের’ বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

‘ক্যাসিনো খালেদ’ হিসেবে পরিচিত ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ৫১ কোটি ৫০ লাখ তিন হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় এই চার্জশিট অনুমোদন দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) কুমার ভট্টাচার্য্য।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সংস্থাটির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই মামলায় খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং আট কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।’

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পাশাপাশি সে সময় তাঁর মালিকানাধীন রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ ১৪২ জনকে আটক করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে খালেদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয় ওই থানায়। আর মতিঝিল থানায় মাদক আইনে করা হয় আরেকটি মামলা।

২১ অক্টোবর খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২২টি মামলা করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল এই টিমের নেতৃত্ব দেন। তিনি ছাড়া সাত সদস্যের ওই টিমের অপর সদস্যরা হলেন উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান।