যুবরাজের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠকের খবর অস্বীকার সৌদি আরবের

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও অন্য কর্মকর্তাদের বৈঠকের খবর অস্বীকার করেছে সৌদি আরব। সোমবার (২৩ নভেম্বর) টুইটারে দেওয়া বিবৃতির মাধ্যমে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ খবরটি নাকচ করে দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার গোপনে সৌদি আরব সফর করেছেন। সেখানে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এছাড়া সৌদি সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-র সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের প্রধান ইউসি কোহেনও এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। নেতানিয়াহুর সৌদি আরব সফরের সত্যতা স্বীকার করে ইসরায়েলি শিক্ষামন্ত্রী ইউভ গ্যালান্ট বলেছেন,সত্যিই সফর ও বৈঠক হয়েছে। এটা ইসরায়েলের জন্য চমৎকার অর্জন। ইসরায়েলের খান পাবলিক রেডিও এবং আর্মি রেডিও জানায়, সৌদি আরবের লোহিত সাগর উপকূলের বহুল আলোচিত নিওম সিটিতে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তবে সোমবার এ বৈঠকের খবর অস্বীকার করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মাইক পম্পেওর সফরের সময় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। আসলে এ ধরনের কোনও বৈঠক হয়নি। বৈঠকে শুধু আমেরিকান ও সৌদি কর্মকর্তারাই উপস্থিত ছিলেন।’

উল্লেখ্য, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ইহুদি জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক রয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। ট্রাম্প-কুশনারের প্রচেষ্টাতেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হয় মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি প্রভাব বলয়ের একাধিক দেশ। সৌদি আরবও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। খাশোগি হত্যকাণ্ডের জবাবদিহিতা থেকেও যুবরাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বাইডেনের জয়ের মধ্য দিয়ে দৃশ্যত হোয়াইট হাউজে নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে হারালো রিয়াদ।