পাসপোর্ট যাত্রীর পণ্য রেখে কাস্টমসে জমা না দেওয়ার অভিযোগ

ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের সাথে আনা পণ্য বিজিবি রেখে দিয়ে শুল্ক গুদামে জমা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তাদের আনিত পণ্যের কোন ডিএম স্লিপও দিচ্ছে না। বিজিবি পণ্য আটকের পর সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে বেনাপোল কাস্টমস থেকে ছাড়িয়ে নিতে বললে ওই যাত্রী কাস্টমসে গিয়ে তার পণ্য না পেয়ে যশোর কাস্টমসে গিয়ে খোঁজ করেও পায়নি। এমনটি অভিযোগ করেছেন যশোর এর বারান্দিপাড়ার একজন পাসপোর্ট যাত্রী।

পাসপোর্ট যাত্রী মাহফুজুর রহামন ( ই এফ ০০৬৫০২০) বলেন, আমি ভারত থেকে ফেরার সময় স্যাম্পল হিসাবে কিছু কসমেটিক্স পণ্য নিয়ে আসি। আমি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীক ভিসায় আমি ভারত গমন করি। এরপর বাংলাদেশে ফেরার সময় ইমিগ্রেশনে প্রবেশের প্রধান ফটকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি আমার ব্যাগ নিয়ে তল্লাশি করে। এরপর আমার ব্যাগ কাস্টমস স্কানিং মেশিনে দিয়ে দেখে ছেড়ে দেয়। আমি কাস্টমস থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসলে আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে আমার ব্যাগ সহ আমাকে ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিজিবি সদস্য। এরপর আমার আনিত পণ্য রেখে বলে আপনি বেনাপোল কাস্টমস থেকে ছাড় করিয়ে নিবেন। আমি যথারিতি বেনাপোল কাস্টমসে গিয়ে আমার আনিত পণ্য না পেয়ে জনৈক লোকের পরামর্শে যশোর কাস্টমসে গিয়ে খোঁজ করি। সেখানেও আমার পণ্য পাইনি। এমনকি বিজিবি পণ্য রাখার সময় আমাকে কোন স্লিপও দেয়নি।

পাসপোর্ট যাত্রীরা ল্যাগেজ রুল অনুযায়ী পণ্য ভারত থেকে ফেরার সময় বাংলাদেশের প্রধান ফটকে বিজিবির স্কানিংয়ে তল্লাশি করার পরও আবার কাস্টমস তল্লাশি করছে এমন অভিযোগ অনেক ভারত ফেরত যাত্রীদের। তারা পরিবার পরিজন সহ নিজেদের ব্যবসায়ীক স্যাম্পল না রাখার জন্য দাবি করে সরকারের উর্দ্ধতন মহলের কাছে।

এ ব্যাপারে কাস্টমস সুপার শারমিন আক্তার বলেন, আমরা যে পণ্য ছাড়ছি তা বিজিবির রাখার কোন এখতিয়ার নেই। তারপর তারা কি কারনে রাখছে তা জানি না। তিনি আরো বলেন বন্ডেড এলাকার ৫ কিলোমিটার এর মধ্যে কোন পণ্য বিজিবির আটক করার কথাও নয়।

এ ব্যাপারে বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আশরাফ হোসেন বলেন, আমরা আটককৃত সকল পণ্য বেনাপোল কাস্টমসে জমা করি। অনেক পণ্য মালিক বিহীন আটক করা হয়, সেগুলো ও যথারীতি কাস্টমস হাউজে জমা করা হয়। এছাড়া যখন অতিরিক্ত পণ্য কেউ নিয়ে আসে সরকারী বিধিমালা বহির্ভুত তাও আটক দেখিয়ে শুল্ক গুদামে জমা করা হয়। যদি কেউ এধরনের কথা বলে তাকে সেটা তার মনগড়া মিথ্যা কথা।