আজ ৩০ ডিসেম্বর সমাজ সচেতন ও সৃজনশীল রাজনীতিবিদ কলামিস্ট আমিরুল ইসলাম রন্টুর ৭৯তম জন্মদিন।
১৯৪২ সালের ৩০ ডিসেম্বর যশোর সদর উপজেলার বেনেয়ালী গ্রামের মাতুতালয়ে জন্মগ্রহণ করেন রন্টু। তিনি সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের আব্দুল গফুর ও রওশন আরা বেগমের সন্তান। ৭ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন।
১৯৬২ সালে এম এম কলেজের জিএস পদে নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এছাড়া প্রগতিশীল রাজনীতি, সামাজিক, সাংষ্কৃতিক অঙ্গনে তার অবাদ বিচরণ রয়েছে।
আমিরুল ইসলাম রন্টু একজন সৃজনশীল ব্যক্তি হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত। তিনি কবিতা, সমসাময়িক বিষয়ের ওপর গঠনমূলক লেখা নিয়মিত লিখছেন-যা জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি ছদ্ম নামেও সমসাময়িক অনেক লেখা লিখছেন। তিনি বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। দীর্ঘদিন তিনি কলেজ পরিচালনা পর্যদের সদস্য ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া চুড়ামনকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির দীর্ঘদিন ধরে সদস্য ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি যশোর চেম্বার অব কমার্সের কার্যকরী সদস্য ও নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি যশোর উদীচী, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ, অগ্নিবীণা কেন্দ্রীয় সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ, মুক্তিশ্বেরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক। প্রথম জীবনে তিনি চুড়ামনকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে তিনবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। যশোর জেলা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই ছেলে তিন মেয়ের জনক। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যশোর জেলা শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
