মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার : বাংলাদেশির ৪৬ মাসের সাজা

মেক্সিকো থেকে বহিরাগতদের যুক্তরাষ্ট্রে পাচারে জড়িত থাকার দায়ে মোক্তার হোসেন নামের এক বাংলাদেশিকে ৪৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।

সেই সঙ্গে কারাবাস শেষে পরবর্তী ৩ বছর তাকে পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

সেখানে বলা হয়, মোক্তার হোসেন এক সময় মেক্সিকোর মন্টেরিতে থাকতেন। এ মামলার বিচার চলাকালে তিনি স্বীকার করে নেন যে, ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ এর অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে অর্থের বিনিময়ে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করার পরিকল্পনায় তিনি জড়িত ছিলেন এবং তাদের তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিয়েছেন।

এ কাজের জন্য মন্টেরিতে তিনি একটি হোটেলের ব্যবস্থা রেখেছিলেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রগামী অভিবাসনপ্রত্যাশীরা আশ্রয় নিত।

“এসব বহিরাগতকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য হোসেন গাড়িচালকদেরকে অর্থ দিতেন এবং কীভাবে রিও গ্র্যান্ডে নদী পার হতে হবে, সে বিষয়ে বহিরাগতদের পরামর্শ দিতেন।”

৩১ বছর বয়সী মোক্তার ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হন। গতবছর অগাস্টে তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে নেন। গত ৭ জানুয়ারি তার সাজার রায় আসে।

টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নির কার্যালয়ের সহায়তায় এই মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ক্রিমিনাল ডিভিশনের হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড স্পেশাল প্রসেকিউশনস সেকশনের ট্রায়াল অ্যাটর্নি জেমস হেপবার্ন ও এরিন কক্স।

ক্রিমিনাল ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ডেভিড পি বার্নসকে উদ্ধৃত করে দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মামলার আসামি একটি সংগঠিত চোরাচালান নেটওয়ার্কের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন, যিনি মুনাফার জন্য কাজ করতেন এবং যেসব বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইত, তাদেরকে শিকার বানাতেন।

“এই দণ্ডাদেশ এ ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধে জড়িতদের জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা হিসাবে কাজ করবে, যারা আর্থিক লাভের জন্য আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে ঠেলে দেয়।”

টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি রায়ান কে প্যাট্রিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্ত নিরাপত্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা পরস্পর সম্পৃক্ত।

“আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কারা আমাদের দেশে প্রবেশ করছে এবং কাউকে আমরা অবারিত সুযোগ দিতে পারি না। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমার অফিস সকল সহযোগী সংস্থার সাথে অব্যাহতভাবে কাজ করছে।”