শার্শায় নারী ব্যাংক কর্মকর্তাসহ তার পরিবারকে মারপিট

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তা সহ তার স্বামী, পিতা, মাতা, চাচাও ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ করেছেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে কমেন্ট করায় রনি ও রাছেল নামে দুজন মাদক ব্যবসায়ি ও একাধিক মামলার আসামী ওই পরিবারের সদস্যদের ইট দিয়ে আঘাত করে আহত করে। এছাড়া পেটে ছুরি মেরে ভুড়ি বের করে দেওয়ারও হুমকি প্রদান করে।

ঘটনাটি ঘটেছে শার্শার গোড়পাড়া সরদার পাড়া গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায়।

অভিযোগকারী আসাদুজ্জামন আনন্দ ও তার স্ত্রী কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা রুমি আছমা বলেন, ডায়মন্ড মোড়ল নামে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখা ছিল বর্তমান আওয়ামীলীগ এর চেয়ে বিএনপি অনেক শক্তিশালী। সেই স্ট্যাটাসে আনন্দ কমেন্ট করে তোমরা বিএনপির লোক নিয়ে চলাচল কর এর জন্য তারা শক্তিশালী হচ্ছে। আর এর জন্য ক্ষেপে যায় বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে তালমেলানো থানার গাতিপাড়া গ্রামের চিহিৃত বিএনপির সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রনি মিয়া। সে তার সহযোগি ওই গ্রামের এলেম এর ছেলে রাছেল সহ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে তাদের প্রথমে নিজামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন এর কথা বলে ডাকে। পরে আনন্দ জানায় সন্ধ্যা হয়েছে আমি স্ত্রী ও শ্যালিকাকে বাড়ি পৌছে দিয়ে দেখা করব। এরই মধ্যে আলাউদ্দিনকে ফোন দিলে তিনি বলে আমি তাদেরকে ডাকি নাই। এরপর আনন্দ তার স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়ি গেলে রনি তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিযে মারধর শুরু করে। এবং জীবননাশেরও হুমকি সহ পেট থেকে ভুড়ি বের করার হুমকি দেয়। এতে আনন্দ, তার স্ত্রী রুমা আছামা, শশুর আবু মুছা, শাশুড়ী হাজেরা খাতুন, শ্যালক দাউদ আহত হয়।

স্থানীয় হাশেম মাস্টার বলেন, এরকম একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার পর আমরা জানতে পেরে পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করি।

এ ঘটনায় শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ তদন্ত ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করে ওই পরিবারের সদস্যরা।

গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ দিয়েছিল পরে স্থানীয় ভাবে তারা ফাঁড়িতে বসে বিষয়টি মিমাংসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শার্শার নিজামপুর ইউনিয়ন এর আওয়ামী যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রনি ও রাছেলকে আনন্দকে ডাকতে বলি নাই। আনন্দ আমার কাছে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমি তাৎক্ষণিক রনি ও রাছেল এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলে আপনার কথা আমি বলি নাই।