পি কে হালদারের সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারী কারাগারে

বিদেশে পলাতক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় দুদক কার্যালয় থেকে কারাগারে পাঠানো হয় তাঁকে।

এর আগে, গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় কমিশনে আনা হয় শঙ্খ ব্যাপারীকে। এরপর দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের তত্ত্বাবধানে একটি দল তাকে ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে তাকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এরপর কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।

গত ৪ জানুয়ারি পি কে হালদারের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া যায়, যা পি কে হালদারের অর্থায়নে কেনা হয়েছিল বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।

ওইদিনই ঢাকা মহানগর জজ বিশেষ আদালতে তোলা হয়। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশ।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, শঙ্খ ব্যাপারীর নামে যেসব সম্পদ রয়েছে তার কোনো বৈধ উৎস নেই। তাঁর মালিকানাধীন মুন এন্টারপ্রাইজের নামে নেওয়া ৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ঋণের টাকা আত্মসাৎ করেন পি কে হালদার।

আইএলএফএসএল গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে পি কে হালদার বিদেশে পালানোর পর গত বছরের ৮ জানুয়ারি দুদক তাঁর বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন সূত্র থেকে জানা যায়, পি কে হালদার ও তাঁর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের হিসাবে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা, পি কে হালদারের হিসাবে ২৪০ কোটি টাকা এবং তাঁর মা লীলাবতী হালদারের হিসাবে জমা হয় ১৬০ কোটি টাকা। অন্যদিকে পি কে হালদার এক ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই দুই হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ বের করে নিয়েছেন।

এসব টাকা দিয়েই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা কেনা হয়। তবে ঋণ নেওয়া পুরো টাকার হদিস মিলছে না। পি কে হালদারের প্রতারণায় সহায়তাকারী ২৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন উচ্চ আদালত।