প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট কাটার ভিডিও ভাইরাল

হরিণাকুন্ডু পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উপস্থিতিতে মুড়িবই থেকে ব্যালট কেটে বাক্সে ফেলার ভিডিও কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল। ভোট কেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং এজেন্টের গোপন ক্যামেরায় ওই ভিডিও ধারণ করা হয়।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক নির্বাচন কমিশনে করা তার অভিযোগে ভোট কারচুপি হওয়া কেন্দ্রগুলোয় পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে হরিণাকুন্ডু পৌরসভায় ভোট নেওয়া হয়। এতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ফারুক হোসেন জয়ী হন।

কিন্তু টিপু মল্লিক অভিযোগ করেন, ফারুকের লোকেরা জাল ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেন, নৌকার সমর্থকরা জাল ভোট দেন। তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে ১, ৪, ৬ ও ৮ নম্বর কেন্দ্রে ভোট কেটে বাক্সে ফেলেন। নৌকার প্রার্থী ফারুকের উপস্থিতিতে এসব হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেন্দ্রে উপস্থিত শত শত ভোটার ও সাধারণ মানুষ। নির্বাচনের দিন শুরু থেকেই তিনি কারচুপির অভিযোগ তোলেন। কিন্তু তার অভিযোগ নির্বাচনে নিয়োজিত কেউ কর্ণপাত করেননি। ঘটনাটি নিয়ে কথা হয় জেলা নির্বাচন অফিসার রোকনুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি জানান, হরিণাকুণ্ডুর স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ আমি পেয়েছি। এখন আমার কিছু করণীয় নেই। প্রার্থী নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দিলে প্রতিকার পেতে পারেন।

জয়ী প্রার্থী ফারুক হোসেনের কাছে তার উপস্থিতিতে ভোট কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে জানান, কম্পিউটারে এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভোট কাটার ভিডিও তৈরি করেছেন পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক। আমি এ মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন