বিদ্রুপের মুখে লতা মঙ্গেশকর

ভারতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে দেশজুড়ে, সে সময় বিষয়টি নিয়ে একটি টুইট করেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। তিনি লেখেন, ‘কৃষক আন্দোলন নিয়ে যে সমস্যা চলছে, তার সমাধান ভারতই করবে। বিদেশি শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে না।’

এছাড়া বিদেশি শক্তির অপপ্রচার রুখে দিয়ে গোটা ভারত যাতে ঐক্যবদ্ধ হয়, সে বিষয়ে আবেদন করেন লতা মঙ্গেশকর। সুর সম্রাজ্ঞীর ওই টুইট প্রকাশ্যে আসার পরই তাকে পড়তে হল নেট নাগরিকদের একাংশের তোপের মুখে।

লতা মঙ্গেশকর দেশের মানুষের পাশে না থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সুরে গান গাইছেন বলে মন্তব্য করেন অনেকে। শুধু তাই নয়, কিশোর কুমার, মহম্মদ রাফিদের পেছনে ফেলে লতা মঙ্গেশকর কীভাবে ভারতরত্ন পান, তা এবার বোঝা গেল বলে আক্রমণ করা হয় বর্ষীয়ান গায়িকাকে।

কৃষকদের আটকাতে কোনও নির্বাচিত সরকার এই ধরনের অমানবিক ব্যবহার কীভাবে করতে পারে বলেও প্রশ্ন তোলেন অনেকে। কেউ বলেন, লতাজির বর্তমানে যে শারীরিক অবস্থা, তাতে তার লেখার ক্ষমতা নেই। ‘মোটা ভাই’ যা লিখে দিয়েছেন, তাই তিনি নিজের বলে ছেপে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে কৃষকদের পক্ষে সম্প্রতি টুইট করেন মার্কিন পপ তারকা রিহানা। ওই টুইট নিয়ে সামাজিক মাধ্যম জুড়ে জোর আলোচনা শুরু হয়। রিহানার পর সুইডিশ পরিবেশবিদ গ্রেটা থানবার্গ এবং সাবেক লেবানীয় পর্ন তারকা মিয়া খলিফাও কৃষকদের পক্ষে টুইট করেন।

পরপর তিন বিদেশির টুইটের পর ভারতের একাধিক তারকা এ বিষয়ে পাল্টা মুখ খুলতে শুরু করেন। শচিন তেন্ডুলকরকে দিয়ে যার শুরুটা হয়। এর পরই লতা মঙ্গেশকর, অনিল কুম্বলে, বিরাট কোহলি, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণসহ একের পর এক তারকারা টুইট করেন ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার ডাক দিয়ে।

এদিকে, ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার ডাক দেওয়ায় অক্ষয় কুমার এবং অজয় দেবগণকে ‘সবচেয়ে বড় সুবিধাবাদী’ বলে আক্রমণ করা হয় সামাজিক মাধ্যমে। অক্ষয়, অজয়ের পাশাপাশি এবার লতা মঙ্গেশকরকেও পড়তে হলো কড়া আক্রমণের মুখে।